দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে একদিনে সব্বোর্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আসার পর থেকে মৃত্যু যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত চারদিনেই ১০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত শঙ্কার।
এরপরও সরকারের বিধিনিষেধ জনগণ মানছে না আবার সরকারও কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এই কারণে সংক্রমণ বাড়ছে এবং আমাদের ধারণা মৃত্যুও বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৪৮ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৬০৬ জন। এ সময় করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে কমেছে। কমেছে রোগী শনাক্তের হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৮ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের দিন রেকর্ড ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১২ হাজার ৭৪৪ জন। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০। মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ১৫০ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯৪ জন।
করোনার এই ভয়াবহ চিত্র যেন আরও ভয়ংকর হয়ে না ওঠে তার জন্য এখন সরকারকে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো কিংবা আরও কোভিড হাসপাতাল বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। সরকারি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়াও ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতা বাড়ানো প্রয়োজন। জনগণকে এই দুঃসময়ে সব্বোর্চ সেবা প্রদান করা এখন রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে সরকার সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। গণটিকাদান কর্মসূচি তারই লক্ষণ। এ কর্মসূচি যেকোনভাবে সফল করতেই হবে। নয়তো বাংলাদেশ করোনা নিয়ে ভয়ংকর বিপর্যয়ে পতিত হবে। সরকার এ বিষয়ে আরও অধিক মনোযোগ দেবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।