গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের সংবাদ সম্মেলন চলার সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণের মামলায় জেএমবি সদস্য মামুনুর রশীদকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার তদন্তে গাফিলতির জন্য তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং কোনো আসামীকে গ্রেফতারের পর নিম্ন আদালতে হাজির করার আগে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিতে আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০৯ সালে দেশীয় তৈরি ৫টি গ্রেনেডসহ টঙ্গী থানার মাতাইশ খরতুল এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবির সদস্য মামুনুর রশীদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলার সময় আসামী একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। একইদিন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হলে বিচার শেষে মামুনুর রশীদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে আসামীর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদুল ইসলাম খান বলেন,‘আসামী পক্ষের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স দুটোই শুনানির শেষে আজ আদালত আসামীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন’।
রায়ের সঙ্গে পুলিশের প্রতি তিনদফা নির্দেশনাও দেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ।
সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। আইজি’কে বলা হয়েছে কোনো আসামীকে গ্রেফতারের পর কোর্টে হাজির করার আগে মিডিয়ার সামনে যেনো উপস্থিত না করা হয়’।
আসামী মামুনুর রশীদকে গ্রেফতারের পর তাজা গ্রেনেডসহ গাজীপুরের পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন করাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।