কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
এ নিয়ে আটক ৩ রোহিঙ্গাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে উখিয়া থানা পুলিশ। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকিতে শংকায় দিন কাটাচ্ছে মামলার বাদীসহ নিহতের স্বজনেরা।
এখনও পর্যন্ত সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। রোহিঙ্গারা তাদের ঘর থেকে আগের মত বের হচ্ছে না। এপিবিএন বলছে ক্যাম্পসহ নিহতের পরিবারের নিরাপত্তায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার ২ অক্টোবর ভোর ৪ টার দিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প ১- ইষ্টের বাসিন্দা জকির আহমদের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২) ও মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আব্দুস সালাম (২৯)। মাস্টার মুহিববুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ রোহিঙ্গা জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা কোন আতঙ্কিত। শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিবৃতি অব্যাহত রেখেছে।
মহিবুল্লাহ নিহতের ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গাদের যে বিচার তা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে সাধারণ রোহিঙ্গারা।
ক্যাম্পে দায়িত্বপালনরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর সদস্যরা এই তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার গুলোর সাথে ম্যাচিং করে এরপর আসামি করা হয় বলে পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা জড়িত বিষয়ে এখনো স্বীকার করেনি।
১৪-এপিবিএন’র পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আরো দুই জন রোহিঙ্গাকে করে থানায় সোপর্দ করা হয়। এর আগে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিম নামে একজনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএন এর টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
গত বুধবার সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১- ইষ্ট সংলগ্ন নিজ অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাষ্টার মুহিবুল্লাহ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।