এক বছর আগে বাংলাদেশের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। যদিও সেটা আলাদা ফরমেটে। ওই ওয়ান ডে সিরিজটা খুব মন দিয়ে দেখেছিলাম। বলতেই হবে যে, ওদের চেয়ে অনেক ভালো দলের কাছে হেরেছিলো ভারত। বাংলাদেশ ক্রিকেট যে প্রচুর উন্নতি করেছে, তার একটা লক্ষণ হলো ওদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠা। সিনিয়র টিমটাও ভারতকে ভালোই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
আমার কাছে গত বছরের ভারত আর এবারের টিমটার মধ্যে তফাত হলো, এই টিমটাকে দেখে মনে হচ্ছে এরা সিরিয়াস আর আত্মবিশ্বাসী। গত বছর ভারত চার মাসের অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে একটাও ম্যাচ না জিতে ফিরেছিলো। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ওদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।
তবে ভারতকে বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশের মাঠে বাংলাদেশ দুর্দান্ত। নিজেদের পরিবেশে খেলাটা ওরা উপভোগ করে। গত বছর ভারতের প্রধান সংহারক ছিলো তরুণ বাঁ-হাতি সিমার মুস্তাফিজুর রহমান। ইতিমধ্যে যে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। টি-২০তে ভারত ওকে কী ভাবে খেলে, সেটা দেখতে আগ্রহ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারে মুস্তাফিজকে নিয়ে এক লেখায় একথা বলেছেন সৌরভ।
তিনি বলেন, চোটের জন্য ধোনি হয়তো খেলবে না। সীমিত ওভারে ধোনি মারাত্মক, কিন্তু ওকে ছাড়াও ভারত শক্তিশালী দল। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টিমের পারফরম্যান্সও ভাল। প্রথম এগারো নিয়ে ভাবার জায়গাই নেই। শিখর-রোহিত থিতু ওপেনিং জুটি। সীমিত ওভারে রোহিত তো নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। মিডল অর্ডারের প্রধান ভরসা বিরাট, সঙ্গে রায়না-যুবরাজ। অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডে। সিনিয়র আশিস নেহরা আর তরুণ জসপ্রীত বুমরাহ মিলে পেস বিভাগটা ভাল টানছে। অশ্বিনের নেতৃত্বে স্পিন তো দুর্ভেদ্য। বহু দিন ধরেই অশ্বিন অসাধারণ ফর্মে রয়েছে। জাডেজা ওকে যোগ্য সঙ্গতও দিচ্ছে।
তবে বাংলাদেশও দুর্দান্ত। সিনিয়র আর জুনিয়রের ভালো ভারসাম্য আছে টিমে। মাশরফি, সাকিব, মুশফিকুর ও মাহমুদুল্লাহের সঙ্গে আছে তাসকিন, মুস্তাফিজুরদের মতো তরুণ। দেখা যাক, এই আত্মবিশ্বাসী ভারতের মোকাবিলা ওরা কী ভাবে করে।