চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মুশফিক টর্নেডোতে জিতল চট্টগ্রাম ভাইকিংস

ক্রিকেটে একটা কথা আছে, ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। কথাটা যেন নিক্তি মেপে প্রমাণ করলেন মুশফিকুর রহিম। নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি। সেই সুযোগের ফায়দা শতভাগ নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে শূন্য রানে সুযোগ পাওয়া মুশফিকের নামের পাশে ৭৫ রান। তার এই টর্নেডো ইনিংসে ধূলিসাৎ পেরেরার ২৬ বলের ৭৪ রানের ইনিংস। লঙ্কান তারকাকে মলিন করে মুশফিকরা ম্যাচ জেতেন ৪ উইকেটে।

কঠিন সময়ের শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন থিসারা পেরেরা। কিন্তু সেই পুঁজি রক্ষায় ব্যর্থ বোলাররা। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই চার ম্যাচে দ্বিতীয় হার মেনে নিতে তাদের। চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে যায় চট্টগ্রাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ১৮৪/৫, চট্টগ্রাম ভাইকিংস ১৮৬/৬।

বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণই করে চট্টগ্রাম। প্রথম পাঁচ ওভারেই পঞ্চাশের বেশি রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার। তাদের মধ্যে একটু বেশি আগ্রাসী ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। ষষ্ঠ ওভারে ক্যামেরন ডেলপোর্ট যখন আউট হন, তখন দলের রান ৫৮। অথচ তার সংগ্রহ ১৩ রান। সাইফউদ্দিন আহমেদের বলে তামিমের হাতে ধরা পড়েন সাউথ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান।

জুটি ভাঙতেই রানের চাকা মন্থর হয়ে যায়। এর মধ্যেই আবার আবির্ভাব ঘটে পেরেরার। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের কচুকাটা করার পর বল হাতে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই সফলতা। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ৪ রান করা ইয়াসির আলীকে।

পেরেরা উইকেট পেতে পারতেন পরেই বলেও। কিন্তু মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যাওয়া সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন উইকেটকিপার এনামুল হক বিজয়।

তবে মুশফিক সুযোগ পেলেও পরের ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। এবার ঘাতক ব্যাট হাতে ব্যর্থ শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে লিয়াম ডাউসনের হাতে ধরা পড়েন শাহজাদ। ছয় চার ও দুই ছক্কায় ২৭ বলে ৪৬ রান করেন আফগান উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান।

নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু অধিনায়ককে রেখে ১৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন আফগানিস্তান অলরাউন্ডার। স্পিনার মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল।

এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক হোসেন। মুশফিক আর দলকে চাপে রেখে তিনি ফেরেন ১২ বলে ১২ রান করে। তবে একপ্রাস্তে অপ্রতিরোধ্যই থাকেন মুশফিক। একের পর এক মাস্টার স্টোক খেলেন তিনি। জয় থেকে সাত কদম দূরে থাকতে ফেরেন অধিনায়ক। ৪১ বলে সাতটি চার ও চার ছক্কায় ৭৫ রান করেন টাইগার তারকা।

শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার প্রয়োজন হয় সাত রানের। প্রথম তিন বলে নিতে পারেন ২ রান। অবশেষে চতুর্থ বলে ডাউসনকে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন রবি ফ্রেইলিঙ্ক।

চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সফল বোলার সাইফউদ্দিন।

এর আগে থিসারা পেরেরার ২৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস