সিলেট থেকে: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে ২০০ ডিসমিসালের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সিরিজে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ, স্টাম্পিংয়ে আউট হয়েছেন সাত ব্যাটসম্যান। সুচারুভাবে কাজে লাগিয়েছেন প্রতিটি সুযোগ। পাঁজরে চোট নিয়ে গত এশিয়া কাপেও কিপিং খারাপ করেননি। রঙিন পোশাকে উইকেটের পেছনে দারুণ করায় মুশফিক টেস্টেও ফিরে পাচ্ছেন কিপিংগ্লাভস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া সিলেট টেস্টে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলাবেন মুশফিকই। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগে বৃহস্পতিবার অনুশীলন পর্ব শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের হেড কোচ স্টিভ রোডস কিপিংয়ে অভিজ্ঞ মুশফিককে ফেরানোর কারণ ব্যাখ্যা করলেন।
‘মুশফিক উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে থাকবে। এ মুহূর্তে আমাদের পরিকল্পনা সেটিই, যদি পরবর্তীতে কোনো সমস্যা না হয়। আমরা ভাগ্যবান যে স্কোয়াডে লিটন ও মিঠুনের মতো বিকল্প কিপার আছে। মুশফিক দারুণ একজন ক্রিকেটার ও যোদ্ধা। কিপিং নিয়ে তার সঙ্গে কাজও হয়েছে। এ মুহূর্তে আমার চোখে মুশফিককে উইকেটের পেছনে দেখলেই আমি খুশি হবো।’
‘এশিয়া কাপ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে তার কিপিং দেখে আমি খুশি হয়েছি। আশা করি টেস্টেও তেমনটি দেখা যাবে। তাছাড়া সে অভিজ্ঞ একজন ব্যাটসম্যান। মাঝেমধ্যে দরকার পড়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের দেখার, সেদিক থেকে খুবই উপযুক্ত মুশফিক।’ রোডসের পর্যবেক্ষণ।
৬২ টেস্টে মুশফিকের ডিসমিসাল ১০৬টি। নিয়েছেন ৯৩টি ক্যাচ, করেছেন ১৩টি স্টাম্পিং। গত বছর হায়দরাবাদ টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহার সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করার পর মুশফিকুর রহিমের উইকেটকিপিং নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়।
টিম ম্যানেজমেন্টে থাকা বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় টেস্টে কিপিং ছাড়বেন মুশফিক। সেপ্টেম্বরে সাউথ আফ্রিকা সফর থেকে এই সিরিজের আগ পর্যন্ত ৬ টেস্টে মুশফিক খেলেছেন কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবেই। সময়টা কিপিং করেছেন লিটন দাস।