হেভিওয়েট দল না গড়েও সেরা চারে খেলেছে চিটাগং ভাইকিংস। লিগপর্বে দুর্দান্ত দাপট দেখানো দলটি সোমবার ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে এলিমিনেটরে ৬ উইকেটে হেরে বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে। নকআউট পর্বে শোচনীয় হার হতাশা জাগালেও পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ে খুশি মুশফিকুর রহিম। সবদিক মিলিয়ে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরকে এগিয়ে রাখলেন ভাইকিংস অধিনায়ক।
এবার বিপিএল খেলে গেছেন ওয়ার্নার, স্মিথ, হেলস, ভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেটার। আছেন গেইল, পোলার্ড, আফ্রিদি, নারিন, রুশো, রাসেল, লুক রাইটরা। কোনো দলই প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলেনি টুর্নামেন্টজুড়ে। আগের সব আসর ছাপিয়ে মুশফিকের কাছে তাই এটিই সেরা বিপিএল।
‘আগের যেকোনো বিপিএলের চেয়ে এটা অবশ্যই অনেক প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ হয়েছে এবং বড় মাপের ক্রিকেটারও এসেছে। তারা খেলেছে এবং উপভোগ করেছে। আমরা অনেককিছু শেখার চেষ্টা করেছি তাদের কাছে। এটা অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা।’
ব্যক্তিগত ও দলীয় অর্জনের দিক থেকেও মুশফিকের অন্যতম সেরা বিপিএল এটি। বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান চলতি আসরে ১৩ ম্যাচে করেছেন ৪২১ রান। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অবস্থান দুই নম্বরে। ২২ গজে ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স তৃপ্তির ঢেকুর তোলার মতোই। যদিও মুশফিক নিজের পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করলেন একটু ভিন্নভাবেই।
‘আমার পারফরম্যান্স নিয়ে আমার না, আপনাদের (সাংবাদিকদের প্রতি) বলা উচিত। আমি বেশি গবেষণা করি না। শুধু চেষ্টা করি। অবশ্যই ইচ্ছা ছিল যে আজকের দিনটায় অবদান রাখতে, যেন একটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে পারি। তবে আগের যেকোনো টুর্নামেন্টের চেয়ে একটু বেশি হ্যাপি। কিছু কিছু জায়গা অনেক কঠিন অবস্থা ছিল, সেখান থেকে বের হয়ে আসা এবং নিজের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করার যে এই লেভেলে আমি পারি। নিজের কাছে যে যুদ্ধটা ছিল সেদিক থেকে একটু সন্তুষ্ট, তবে বেশি না।’
মুশফিক আগের দুটি আসর খেলেছেন বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংসের হয়ে। দু’বারই শেষ চারে জায়গা পায়নি দল। এবার সাধারণ একটি দল নিয়েই খেলে ফেলেছেন প্লে-অফ। মুশফিক ও তার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির খুশি থাকারই কথা!
‘বাঁচা-মরার ম্যাচ ছিল। একটা প্রতিযোগিতা হবে, সেটাই সবার প্রত্যাশা ছিল। উইকেট ভালো ছিল। আমরা ১৬০ রানের মতো করতে পারলেও ঢাকাকে চাপে রাখতে পারতাম। সেটা হয়নি। উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের সিলি কিছু ভুল হয়েছে। কিছু ব্যাটসম্যান উইকেটে সেট হয়েও আউট হয়েছে। এমন দলের বিপক্ষে এত ভুল করলে কঠিন হয়। সেদিন থেকে হতাশার। তবে সবমিলিয়ে যে দল ছিল ভাইকিংসের, সেদিক থেকে এতদূর আসতে পেরেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজির গর্ব করার মতো।’ বলে চলেন মুশফিক।
সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে হেভিওয়েট দল ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুশফিকের চিটাগং। মামুলি লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে ২০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় সাকিব আল হাসানের দল।