সিলেট থেকে: কথা ছিল পাকিস্তান যেতে ক্রিকেটারদের জোর করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখান থেকে সরে এসেছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। পাকিস্তান না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকা মুশফিকুর রহিমকে চাপ দেয়া হয়েছে করাচিতে সিরিজের একমাত্র ওয়ানডে ও অবশিষ্ট একটি টেস্ট খেলার জন্য।
দেশসেরা এ ব্যাটসম্যানকে রীতিমতো হুমকি দেয়া হয়েছে পাকিস্তান যেতে রাজি না হলে বাদ দেয়া হবে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশ থেকে। বিসিবি ও দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।
এপ্রিলে বাংলাদেশ দলের তৃতীয় দফা পাকিস্তান সফরে মুশফিক যাবেন কিনা- সেটি জানতে সোমবার রাতে টিম হোটেলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বৈঠকে বসেছিলেন। ছিলেন বিসিবির কয়েকজন পরিচালকও।
মুশফিককে চাপ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন নির্বাচক মিনহাজুল। তিনি বলেছেন, ‘মুশফিককে দল থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেবো কেন? আজ টিম হোটেলে আমরা মিটিং করেছি। সেখানে তাকে পাকিস্তান যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমরা তাকে আর কিছুই বলিনি।’
বিসিবি থেকে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি মুশফিক পরিবারের কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। তার বাবা ও বড় ভাই জানিয়েছেন এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানেন না তারা।
বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে নেতৃত্ব দেয়া মুশফিক আসর শেষ করেই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেন, তিন সংস্করণের কোনটিতেই খেলতে পাকিস্তানে যাবেন না। কারণ হিসেবে পরিবারের শঙ্কার কথা বলেছিলেন। তখন সিদ্ধান্তটি মেনেও নিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু দুই দফা সফরে টি-টুয়েন্টি ও সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হেরে আসার পর সুর বদলান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরিতে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারানোর পর নাজমুল হাসান বলেন, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারেরই পাকিস্তান যাওয়া উচিত। মুশফিকের পরিবার পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে সত্যিই শঙ্কিত কিনা, সেটি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।