গত চার বছরে একবারও না। কোন দল ওয়াংখেড়েতে ১৫০-এর কম রান করে গত চার বছরে জিততে পারেনি। সবমিলিয়ে দেড়শর নিচে রান করে এই মাঠে চারবারের বেশি জিততে পারেনি দলগুলো। সেখানেই কিনা ইন্ডিয়ান্সদের দেওয়া ১৪৩ তাড়া করতে নেমে ১৪ রানে হেরে বসল দিল্লি।
ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৪২ রান তোলে। সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে জস বাটলারের থেকে। ৩ চার ও ২ ছয়ে ১৮ বলের ইনিংস ইংলিশ তারকার।
বাকিদের মধ্যে বলার মত রান কাইরন পোলার্ডের ২৬, হার্দিক পান্ডিয়ার ২৪ আর ক্রুনাল পান্ডিয়ার ১৭।
বল হাতে দিল্লির দুই সফল অমিত মিশ্র ১৮ রানে এবং প্যাট কামিন্স ২০ রানে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
পরে ইনিংসের শুরুটা দিল্লির জন্য নিদারুণ বিবব্রতকর! ৯, ০, ৫, ৬, ০, ০! এগুলো দিল্লির কোন ব্যাটসম্যানের ফোন নাম্বারের ডিজিট নয়; দলটির প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের নামের পাশে থাকা এই ম্যাচের রান! এক সময় ২৪ রানেই ৬ উইকেট নেই ডেয়ারডেভিলসদের।
এরপর আবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। কাগিসো রাবাদা ও ক্রিস মরিস মিলে ৯১ রান যোগ করেন। তাতে ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচটি জমিয়ে তুলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না সেটি। ৭ উইকেটে কেবল ১২৮ পর্যন্তই যেতে পেরেছে দিল্লি। রাবাদা ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ বলে ৪৪ রানে ফিরেছেন। ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন মরিস।
ম্যাচ সেরা মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনেঘান। ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। শুরুর চার উইকেটের তিনটিই এই নিউজিল্যান্ডারের, বাকিটা রান আউট। পরে যাতে হাত লাগিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরা ২ উইকেট নিয়ে।