তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে যাওয়া সম্ভাবনা জেগেছিল। সেটি কাটিয়ে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের জুটিতে এখন লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের স্কোর ৪ উইকেটে ২৮১ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনো ৪৭ রানে পিছিয়ে অতিথিরা।
মুমিনুল হক ৪৫ ও লিটন দাস ৪২ রানে অপরাজিত। দুই ব্যাটার পঞ্চম উইকেট জুটিতে দ্রুতগতির ৭৮ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন। ওয়াগনার ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এক উইকেট পকেটে পুরেছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
কিউই পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর মুমিনুল রানের চাকা সচলে মনোযোগী হয়েছেন। ৯৮ বল খেলে ১৭ রান করে লাঞ্চে যাওয়া টাইগার অধিনায়ক এখন সাবলীলভাবে ব্যাট চালাচ্ছেন। লিটন শুরু থেকেই চেনা ছন্দে আছেন।
সোমবার ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে দিনের শুরু করে বাংলাদেশ। আগেরদিন ৭০ রানে অপরাজিত থাকা জয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও সেটির অপমৃত্যু ঘটিয়েছেন নিজেই। ওয়াগনারের অফস্টাম্পের বাইরের নির্বিষ এক বল তাড়া করতে গিয়ে গালিতে নিকোলসের হাতে ধরা পড়েন। ২২৮ বলে ৭ চারে ৭৮ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস তার।
খানিক পরে বেঁচে যান মুমিনুল। জেমিসনের বলে আগেভাগে ফ্লিক করে বসেছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল ফেরত যায় বোলারের হাতে। জেমিসন ঝাঁপিয়ে পড়েও হাতে জমাতে পারেননি।
পরে ওয়াগনারের বলে আউট হয়েও নো বলের সুবাদে টিকে যান মুমিনুল। কিউই পেসারের করা ব্যাক অব লেন্থের কোনাকুনি বলে মুমিনুল ব্যাট সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। বল ব্যাটে আলতো ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হয়। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। টিভি রিপ্লেতে ওয়াগনারের বুট পরিস্থিতি আনে নো বলের সংকেত। ৯ রানে মুমিনুল জীবন পান।
বেশ ধৈর্য নিয়ে খেলছিলেন মুশফিক। রান করার চেয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকাতে দেন মন। নতুন বলে পেসারদের চ্যালেঞ্জটা শেষপর্যন্ত সামলাতে পারেননি। বোল্টের রাউন্ড দ্য উইকেটে ফুল লেন্থের সুইং বল স্কয়ারলেগে খেলতে গিয়েছিলেন। ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়ে দেন। ছিল না পায়ের নড়াচড়াও। উপড়ে যায় অফস্টাম্প। ৫৩ বলে এক চারে মি. ডিপেন্ডেবলের ইনিংস থামে ১২ রানে।