জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে স্বস্তির এক সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হক। জাতীয় লিগে টায়ার-২’র ম্যাচে তার অপরাজিত ১১১ রানে ভর করে ঢাকাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়ায় আগেরদিন সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল চট্টগ্রাম। ২ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে দলটি। ম্যাচ জিততে চতুর্থ দিনে ৮ উইকেট নিয়ে ৮৯ রান করতে হতো। তাসামুল হককে নিয়ে মুমিনুল সেটি নির্বিঘ্নে করে ফেলেন।
১১০ বলে ১৩টি চার একটি ছয়ে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন তাসামুল। ১১৫ বলে ১১ চার দুই ছয়ে নিজের ইনিংস সাজান টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরেছিলেন।
এর আগে ঢাকার প্রথম ইনিংসে ২৮৮ রানের জবাবে তৃতীয় দিনে ২৩৮ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। ৫০ রানের লিড পেয়েও সেটিকে খুববেশি বড় করতে পারেনি ঢাকা। চট্টগ্রামের বোলারদের তোপে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে প্রতিপক্ষকে ২০২ রানের লক্ষ্য দেয় নাদিফ চৌধুরীর দল।
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নেয়া চট্টগ্রামের স্পিনার নাঈম হাসান দ্বিতীয় ইনিংসে পান ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার শিকার ১১ উইকেট।
সিলেট-ঢাকা মেট্রো
টায়ার-২’র অন্য ম্যাচে ঢাকা মেট্রোপলিসের বিপক্ষে ৩ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে সিলেট বিভাগ।
ম্যাচ জিততে চতুর্থ দিনে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করতে হতো ঢাকাকে। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে উইকেটরক্ষক জাবিদ হোসাইন ছোট একটা লড়াই চালিয়েও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন। ৬৮ বল খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।
এর আগে সিলেট তাদের প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান তোলে। জবাবে মেট্রো ৩০০ পর্যন্ত যায়। সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৪ রানে অলআউট হলে তাদের লিড হয় ১৯৬। ঢাকা শেষ দিন ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায়।
দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সিলেটের খালেদ আহমেদ।
রংপুর-বরিশাল
টায়ার-১’র ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে রংপুর বিভাগ ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে। রবিউল হক এবং শুভাশিস রায় দারুণ বল করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
রংপুর প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানে অলআউট হওয়ার পর বরিশালও প্রথম ইনিংসে ১৪৭ করে। বরিশালের সোহাগ গাজী প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন।
জবাবে রংপুরের শুভাশিসও প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পান। রবিউল এই ইনিংসে নেন ২ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর ২২৯ রান তোলে। বরিশাল গুটিয়ে যায় ২২৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে রবিউল নেন ৪ উইকেট। শুভাশিস ফেরান দুইজনকে।
খুলনা-রাজশাহী
টায়ার-১’র আরেক ম্যাচে প্রথম তিনদিনে খেলা হয়েছিল দুই ইনিংস। আর সেই ম্যাচের বাকি দুই ইনিংস হল শেষদিনে! যেখানে খুলনাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী।
খুলনা প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩০৯ রান। ৯ উইকেটে ৪১৮ রানে তৃতীয় দিন শেষ করা রাজশাহী শেষ দিনে প্রথম ইনিংসে যোগ করে আরও ১৩ রান। তাতে লিড দাঁড়ায় ১২২ রানের।
জবাবে রাজশাহী বোলারদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৮ রানে অলআউট হয় খুলনা। শেষ পর্যন্ত রাজশাহীর সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭। মিজানুর রহমান ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারিয়ে হেসে খেলেই লক্ষ্যে পৌঁছায় রাজশাহী।