চট্টগ্রাম থেকে: দৃষ্টি ছিল তার ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। মুমিনুলও কি খুব করে চাননি ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকটা? কিন্তু আগেরদিনের সঙ্গে মাত্র এক রান যোগ করে ১৭৬-এ থেমে স্বপ্নভঙ্গ। ভবিষ্যতে এমন সুযোগ এলে কী আরও সাবধানী হবেন মুমিনুল? চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অল্প কথার মানুষটি নিজের মনোভাব তুলে ধরলেন সবিস্তারেই।
‘দেখেন, দেড়শ থেকে দুইশ করতে গেলে সেশন-বাই-সেশন খেলা লাগে। আগে যে ভুলটা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে হয়ত নিজের জন্য খেলেছি। বিশেষ করে ১৭০-১৮০তে যাওয়ার পর। ওই জিনিসটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছি। এখন সেশন-বাই-সেশন ফোকাস করছি। তাহলেই অটোমেটিক দেড়শ হবে। আজকে প্রথম সেশনটা যদি খেলতে পারতাম, হয়ত ২০০ হয়ে যেত। আমি সেশনের দিকেই ফোকাস করেছি।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ২০১৩ সালে। সেই জহুর আহমেদে পাঁচ বছর পর আগেরটি ছাড়িয়ে ডাবলের রাস্তা তৈরি করছিলেন মুমিনুল। কিন্তু আগেরদিনের মুমিনুলকে পাওয়া যায়নি দ্বিতীয় দিনের সকালে। হেরাথের বলে ফেরার পর সকলে যখন আক্ষেপে পুড়ছেন, মুমিনুলের তখনে ডাবল নিয়ে আক্ষেপই নেই! আবার আছেও, সেটি শুরুর সেশনটা খেলতে না পারার।
মুমিনুল মনে করেন প্রথম সেশনটা খেলে দিতে পারলে বাংলাদেশের রান ৬০০ ছাড়িয়ে যেত। সেটি না হওয়ায় নিজের উইকেট পতনকেই দায়ী করছেন এই বাঁহাতি তারকা।
‘আমার আউটই ঝামেলা তৈরি করেছে। এসব উইকেটে যখন ১৭০ করবেন, সবাই মনে করবে আপনি আরও এক-দুই সেশন ব্যাট করবেন। যদি এক সেশন ব্যাট করে লাঞ্চে যেতে পারতাম, তাহলে ৬০০-এর বেশি হত।’