মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে আপিল বিভাগে। আসামীপক্ষ জানিয়েছে, শুনানিতে তারা প্রমাণিত ৫ অভিযোগের সাথে সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা করছেন ।
এটর্নি জেনারেল বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করলেও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড বহাল রাখার পক্ষেই যুক্তি উপস্থাপন করবেন তারা।প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সকাল পৌণে ১০টার দিকে শুরু হয় মুজাহিদের আপিলের শুনানি। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো শুনানির জন্য আসলেও আসামীপক্ষের আবেদনে কয়েকবার তা মুলতবি হয়েছিলো।
আবারও মুলতবি চাইলে প্রধান বিচারপতি শুনানি শুরু করার পাশাপাশি আপিল উপস্থপনের বিষয়ে আসামীপক্ষকে নির্দেশনা দেন। পেপারবুক না পড়ে আসামীপক্ষকে সরাসরি বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলেন আদালত। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাজাহান বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযোগ পড়া হয়েছে। পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল দণ্ড দিয়েছেন। দু’টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সে দু’টিতে রাষ্ট্রপক্ষ কোন আপিল করেনি।
গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতনসহ ৩ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, একটি অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং আরেকটি অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল-২ । এই দণ্ডের পক্ষে বক্তব্য রাখার কথা জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল।
তিনিবলেন, আসামিপক্ষ প্রথমে সময় চেয়েছিলো। কিন্তু এর আগেও যেহেতু তাদেরকে সময় দেয়া হয়েছে কয়েকবার তাই আজকেই অভিযোগ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত এবং তারা পেপারবুক পড়াশুরু করেছেন। মুজাহিদের ফাঁসির রায় যেন বহাল থাকে সেই অনুযায়ীই সরকারপক্ষ তাদের যুক্তি তুলে ধরে যাবেন।
পরে মুজাহিদের আপিল শুনানি ৪ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। এই মামলার পরই কার্যতালিকায় আছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আরেক আসামী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল।