চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মুখরিত গুঞ্জনমালায় প্রিয় ক্যাম্পাস

আবার প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত হবে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় তাদের প্রিয় ক্যাম্পাস। ক্লাশরুম, লাইব্রেরিসহ সর্বত্র ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় দীর্ঘদিনের অবসাদ ঝেড়ে মেতে উঠবে শিক্ষাঙ্গণ। করোনাভাইরাস মহামারীকালে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রথম ধাপে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে শুরু করে। দীর্ঘ বিরতির পর তাদের আগমনে ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে। নিজেদের প্রাণের ঠিকানায় ফিরে উচ্ছ্বাস আর আনন্দে মুখর হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়ার শর্তে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দিয়ে ১৬ অক্টোবর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর প্রস্তাব করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির জরুরি সভায় এ প্রস্তাব করা হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল চ্যানেল আই অনলাইনকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন: আগামীকাল বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভা রয়েছে। সেখানে প্রভোস্ট কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে আলোচনা শেষে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তবে হল খোলার বিষয়টি প্রভোস্টদের সিদ্ধান্তই বিবেচনায় নেওয়া হবে। প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন: ইতিমধ্যে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়ায় প্রভোস্ট কমিটি আগামী ১০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৬ অক্টোবর থেকে সব বিভাগ-ইনস্টিটিউটের সব বর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) শুরু হবে। সেশনজট অবসানের জন্য পাঁচ দিনের পরিবর্তে এখন থেকে ছয় দিন কার্যদিবস থাকবে৷ শুধু শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এ ছাড়া প্রতিদিনই শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
করোনার কারণে গত বছর থেকে সারা পৃথিবীজুড়ে এক অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সারা বিশ্ব যেনো একযোগে থমকে গিয়েছিল। অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সামাজিক সর্বত্র অচলবস্থা তৈরি হয়। বিশ্বে দেখা দেয় এক নতুন ধরণের সংকট। যুদ্ধ ছাড়াই বিধ্বস্ত পৃথিবী এখন প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে। উন্নত দেশগুলোতে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে এনে জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে এত দীর্ঘসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কোনো নজির নেই। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার মাধ্যমে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবন যাপনের দিকে ফিরে যাচ্ছি। আমরা আশা করি এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে তেমন করোনার সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবে। কারণ এখন পর্যন্ত আমরা করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত নই। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম যেনো ব্যাহত না হয় কোন কারণে। এমনিতেই প্রায় দেড় বছর ধারাবাহিক পড়ালেখার সঙ্গে তাদের সরাসরি সংযোগ ছিল না। আমরা আশা করবো এই শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম যেনো অব্যাহত থাকে কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর দেবেন।