চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৮ এপ্রিল

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৮ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া মামলার প্রধান আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

মামলার বাদি ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ তার গত দুই তারিখের অসমাপ্ত সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে আদালতের নিয়মানুযায়ী আসামী পক্ষের উকিলরা মামলার মূল বাদীকে জেরা শুরু করেন। জেরা অসামাপ্ত থাকতেই আদালত আজকের দিনের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী জেরার দিন ১৮ এপ্রিল ধার্য করেন। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদির সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আদালতের এজলাসে বসেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ তিনজন সাক্ষীর হাজিরা দাখিল করেন। আদালত মামলার বাদি নাহার আহম্মদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এর আগে সকালে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে এমপি রানাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।