চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে বিপক্ষের শক্তি চিনতে হবে’

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে পক্ষের সাথে বিপক্ষের শক্তি চিনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন অাফরোজ। তিনি বলেন: আমার আপনার করের টাকায় সুবিধা নিচ্ছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা। তাতে প্রকৃত মুক্তুযোদ্ধারা বঞ্চিত হচ্ছে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে এসব কথা বলেন তুরিন অাফরোজ। কালান্তর ফাউন্ডেশন নামক একটি সংগঠন তাদের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের অায়োজন করে।

নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্লোগানকে সামনে রেখে অায়োজিত এ অনুষ্ঠানে তুরিন অাফরোজ বলেন: কারা অামাদের বন্ধু কারা অামাদের শত্রু তা চিনতে হবে। কার সাথে অামি পথ চলব, কার সাথে চলব না তা বুঝতে হবে। একাত্তরে পাক বাহিনী ও তার দোসরদের চালানো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা করে তিনি বলেন, এসব ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা অামাদের জানতে হবে।

তিনি বলেন: যারা জামাতকে রাজনৈতিক মদদ দেয় তারা আমাদের শত্রু। এসময় তিনি জামাত-শিবিরের রাজনৈতিক মদদদাতা হিসেবে বিএনপিকে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি তার স্বাতন্ত্র্যবোধ হারিয়েছে। ২০০৪ সালে তারেক জিয়া শিবিরের সম্মেলনে বললেন, শিবির ও ছাত্রদল একমায়ের পেটের দুই ভাই। কিন্তু সেই মাকে তা অামরা জানলাম না। ২০০৭ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত কাদের মোল্লা এক সাক্ষাৎকারে বললেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তারা হয় ভারতের দালালি করতে গিয়েছে নয়তো নারীর সম্ভ্রম লুট করতে গেছে। তাহলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নারীর সম্ভ্রম লুট করতে গিয়েছিল নাকি ভারতের দালালি করতে গিয়েছিল তা প্রশ্ন থেকে যায়।

তুরিন অাফরোজ বলেন: যতোবারই ট্রাইব্যুনালের রায় হয়েছে ততোবারই জামাত হরতাল ডেকেছে। অার সেই হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তাদের অবস্থান বুঝা যায়।

‘বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশকে ভাগ করা হয়েছে। হ্যাঁ, ভাগ হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চেই একটি দেয়াল উঠে গেছে। আপনি হয় দেয়ালের উপারে থাকবেন। না হয় দেয়ালের ওপারে থাকবেন। দেয়ালের এপারে থাকলে আপনাকে পতাকা বিশ্বাস করতে হবে। মানচিত্র বিশ্বাস করতে হবে। দেশ, স্বাধীনতা বিশ্বাস করতে হবে। আর বিশ্বাস না করলে ওপারে চলে যান। আপনাদেরকে বরণ করার জন্য পাকিস্থানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকে বসে অাছেন।’