বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমারের হাতে আটক ১৭ জেলেকে ফিশিং বোটসহ ফেরত আনা হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার শূন্য রেখায় কোস্ট গার্ডের (সিজিএফ) তাজউদ্দিন নামে জাহাজে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ফেরত আনে।
এসব জেলেদের মধ্যে ১৩ জন ভোলার, ২ জন চট্টগ্রামের, ১ জন ঝালকাঠি এবং ১ জন মুন্সিগঞ্জ জেলার অধিবাসী। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন তাজউদ্দিন জাহাজের ইনচার্জ কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন।
তিনি বলেন: মিয়ানমার জলসীমানায় সেদেশর নৌবাহিনীর হাতে বাংলাদেশি জেলেদের রাত ৯ টা ফেরত আনা হয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় মিয়ানমার থেকে ফিশিং ট্রলারসহ ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রথম নাফ নদীর মাঝখানে দুই দেশের আলোচনায় কোস্ট গার্ড কোনো বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে।
উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি জেলেরা হলেন: ভোলা সদরের চুন্নাবাদ এলাকার মোঃ মিলনের ছেলে জাকির হোসাইন (৪৪), একই জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নোরাবাদ এলাকার আব্দুল লতিফ ব্যাপারির ছেলে আবুল কালাম (৫৬), গোলদার হাট এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে কামাল সওদাগর (৪৯), উত্তর মাদ্রাজ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৯), নীলকমল এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে মোতাহার (৫৫), একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোছাইন (২৭), মৃত নজির আহমদের ছেলে মোঃ ফারুক (৪৩), আব্দুল বারেক চৌকিদারের ছেলে মোঃ ছলিম (৪০), চরফ্যাশন সদরের নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে মোঃ জসিম (৫১), চরফ্যাশন পৌর এলাকার আবি আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম (৫৭), একই এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে মোঃ নেছার (৪৬), দৌলতখান উপজেলার কলাখোপা এলাকার মোঃ আলমগীরের ছেলে মোঃ আলামীন (১৯), চরখলিফা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (২৯), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ শাহ আলম (৬১), একই উপজেলার শোভনদন্দী এলাকার মৃত সোলায়মানের ছেলে মো. জসিম (৩৩), মুন্সীগঞ্জের টঙ্গী বাড়ি উপজেলার জাহের আলীর ছেলে আবু সায়েদ (৩৬) ও ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান (৪৬)।
কোস্ট গার্ড জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাথিডং উপকূলের মাইও নদীর মোহনায় মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করলে দেশটির নৌবাহিনী ১৭ জেলেসহ এফবি গোলতাজ-৪ (এফ-৬০৭৯) নামে বাংলাদেশি একটি ফিশিং বোট সাগরে ভাসমান অবস্থায় আটক করে।