চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কোহলির পাল্টা আঘাতে থমকে গেল ক্যারিবীয় ঝড়

২০৮ রানের টার্গেটে ভারত জিতেছে ৬ উইকেটে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এটা শুধু একটা সিরিজ নয়, বরং ভারত সফর ক্যারিবীয়দের কাছে তরুণদের তুলে আনার মঞ্চ। গেইল, রাসেল, ব্র্যাথওয়েট ও ব্রাভোর জায়গায় দলে নতুন মুখ হিসেবে নামেন ব্রেন্ডন কিং, পিয়েরে, রাদারফোর্ড ও হেডেন ওয়ালশ জুনিয়র। শুরুতে ‘ক্যারিবিয়ান ঝড়’ও ওঠে। কিন্তু কোহলি-রাহুলদের পাল্টা আঘাতে থমকে যায় সেটি। ২০৭ রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ভারত ম্যাচ জিতেছে ৬ উইকেটে। আবার ৮ বল হাতে রেখেই।

শুক্রবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে বড় রানের টার্গেট রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিমরন হেটমায়ারের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি এবং এভিন লুইস, পোলার্ড ও জেসন হোল্ডারের বিগ হিটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২০৭ রান জমায় সফরকারীরা।

বিশাল লক্ষ্যে শুরুটা বিস্ফোরকই করে ভারত। দুই ওপেনারের মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু আউট হয়ে যান ধীরে খেলা রোহিত শর্মা। তিন ওভারে স্কোরবোর্ডে রান যখন ৩০, আউট হয়ে যান রোহিত (১০ বলে ৮)। পিয়েরের বলে ক্যাচ নেন হেটমায়ার।

কোহলি নেমেই পরে রাহুলের সঙ্গে জুটিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। জুটিতে ১০০ রান করে ফেরেন রাহুল। ফেরার আগে ৪০ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলে যান। তার সঙ্গে মিলে দাঁড় করানো পিলারের ভিত্ত আরও শক্ত করেন বিরাট কোহলি। সঙ্গ দেন রিশভ পান্ট। অল্প সময়ে দুজনে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। সমালোচনার মধ্য থাকা পান্ট এদিনও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। ঝোড়ো শুরু করলেও ৯ বলে ১৮ রানে থামতে হয় তাকে।

শ্রেয়াস আয়ার (৪) রানে দ্রুত ফেরেন। তবে কোহলি ক্রিজে থাকতে যেকোনো দলেরই যে ঘুম হারাম করে দেন সেটা আরও একবার প্রমাণিত। টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ভারত অধিনায়ক। তার ৫০ বলের ইনিংসে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কার মার। টি-টুয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত আগের স্কোরটি ছিল ৯০ রানের।

প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচেই দেখা যায় কাইরেন পোলার্ডের বিগ-হিটিং। অধিনায়ক হিসেবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আইপিএল অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ পোলার্ড। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা।

বেশি শিশিরের ভয়ে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাটিং পিচে বিরাটের বোলারদের তুলোধনা করেন পোলার্ড-হেটমায়ার-লুইসরা। ইনিংসে ১৫টি ছক্কা ও ১১টি বাউন্ডারি মারেন ক্যারিবিয়ানরা।

ইনিংসের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওভারেই ১৩ রান নেন দুই ওপেনার। পরের ওভারে লেন্ডন সিমন্স আউট হলেও রান তোলার গতি কমেনি উইন্ডিজের। সিমন্সের ওপেনিং পার্টনার লুইস ও কিং হাত খুলে খেলেন।

দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রান যোগ করেন দু’জনে। ১৭ বলে চার ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারিসহ ৪০ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে এলবিডব্লিউ হন লুইস। কিং ২৩ বলে ৩১ রান করে জাদেজার শিকার হন।

১০ ওভারেই একশো রানের গণ্ডি টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হেটমায়ার ও পোলার্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দু’শোর গণ্ডি টপকে যায় তারা। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে ৭১ রান যোগ করেন। এক ওভারে যুজবেন্দ্র চাহাল দু’জনকে ডাগআউটে ফেরালেও দু’শোর আগে ক্যরিবিয়ানদের আটকে রাখতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা।

প্রথম ম্যাচ জিতে লিড নেয়া ভারত ৮ ডিসেম্বর সিরিজ নিশ্চিত করতে কেরালার থিরুভানান্থাপুরামে মোকাবেলায়ে নামবে।