রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিধন চালানোর কারণে মিয়ানমারকে দেয়া সামরিক সহযোগিতা স্থগিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের ভ্রমণ খরচে ছাড় বাতিল করাসহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, নৃশংসতার জন্য দোষী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে জবাবদিহি করা গুরুত্বপূর্ণ। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা কিংবা অন্য সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিবিসি জানায়, গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন- সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকে ‘জবাবদিহিতার’ আওতায় আনা হবে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন’ বলেও জানান তিনি।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলায় ১২ জন সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমার সরকার। নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা পালাতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অবরোধ আরোপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চালানো হত্যাযজ্ঞের সাজা দেয়ার বিষয়ে বলে আসছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্র।