চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের ৭ বছর করে কারাদণ্ড

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জাতিগত নিধনের সংবাদ সংগ্রহে অনুসন্ধানের সময় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের একটি আদালত।

দণ্ড পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন- ওয়া লোন এবং কিয়াও সোয়ে উ।

গত ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তাদেরকে আটক করে মিয়ানমার পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছে কিছু সরকারি নথিপত্র ছিল যা পুলিশই অনুসন্ধানের সময় তাদের দিয়েছিল।

গ্রেপ্তারের পর দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে উর মুক্তির দাবিতে রোববার ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ করে কয়েকশ’ মানুষ। তাদের মুক্তির পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে এ বিক্ষোভ হয়েছিল।

আদালতের রায়ে ওই দুই সাংবাদিক দোষী প্রমাণিত হলে তাদের চৌদ্দ বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।রয়টার্স-রয়টার্সের সাংবাদিক-মিয়ানমার-রোহিঙ্গা

এর আগে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ দুই সাংবাদিকের মুক্তি দাবি জানিয়েছিল।

কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার পরও আগের মতোই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন ওয়া লোন এবং কিয়াও সোয়ে উ। তাদের দাবি, পুলিশ তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে।

রায় ঘোষণার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের ওয়া লোন বলেন, ‘আমার কোনো ভয় নেই। আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।’

এ বিষয় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্সের এডিটর-ইন-চিফ স্টিফেন অ্যাডলার বলেছেন, ‘আজ মিয়ানমার, ওয়া লোন, কিয়াও সোয়ে উ এবং বিশ্বের সর্বত্র সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি দুঃখের দিন।’রয়টার্স-রয়টার্সের সাংবাদিক-মিয়ানমার-রোহিঙ্গা

মামলার বিচারক ইয়ে লুইন ইয়াঙ্গুনের আদালতে রায় ঘোষণার সময় বলেন, ওই দুই সাংবাদিক মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কাজ করছিলেন। এ কারণেই তারা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়ে উ (২৮) উত্তর রাখাইনের ইন দিন গ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে ১০ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছিলেন।

ওই অনুসন্ধানের সময় তাদেরকে দু’জন বর্মি পুলিশ অফিসার কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সেই কাগজগুলো রাখার দায়েই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।