মিয়ানমারে জান্তা সরকারকে প্রতিরোধ করতে ‘বিপ্লব’ এর ডাক দিয়েছেন সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদদের দলের নেতা মান উইন খাইং থান।
তিনি তার প্রথম ভাষণে বলেন: এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারময় সময়। সেই সঙ্গে এমন সময় যখন ভোর আসন্ন।
আত্মগোপনে থেকেই গত মাসের সেনা অভ্যুত্থান গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানো বিধায়কদের একটি দল পরিচালনা করেন তিনি।
শনিবারও মিয়ানমারে বিক্ষোভে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
এনএলডির যেসব নেতারা গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হন তারা একটি নতুন দল তৈরি করেছেন। সেটার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং প্রিদংশু হ্লুট্টাও (সিআরপিএইচ)। মান উইন খাইং থানকে তার ভারপ্রাপ্ত প্রধান করা হয়।
সিআরপিএইচ বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কামনা করছে। তবে সেনারা তাদের অবৈধ হিসেবেই বিবেচনা করছে। সেই সঙ্গে তারা এও বলেছে, কেউ এই দলকে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।
ফেসবুকে প্রকাশিত এক বক্তৃতায় মান উইন খাইং বলেন: কালো সময়ের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের নিজেদের সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করার সময় এটাই।
তিনি যোগ করেন: দশকের পর দশকব্যাপী চলে আসা স্বৈরাচারের ফলে সব ধরনের জাতিসত্তা যেসব নিপীড়নের শিকার হয়েছে তাদের জন্য ফেডারেল গণতন্ত্র গঠনের জন্য এই বিপ্লবই একটি সুযোগ, যেখানে আমরা একসাথে প্রচেষ্টা চালাতে পারি।
‘অতীতে আমাদের যতই পার্থক্য থাক, এই সময়ে আমরা আমাদের হাত একত্র করতে পারি ভালোর জন্য, স্বৈরতন্ত্রের সমাপ্তি আনার কাজে।’
এর আগে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে। বড় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিকালীন কারফিউ থাকা সত্ত্বেও তারা বিক্ষোভ দেখায়। এরই মধ্যে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ।