মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশকে ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। দেশটির প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি অভিযোগ করেছে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা দেখে সরকার কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন ফল প্রকাশে দেরি করছে।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে বলে নির্বাচন কমিশন জানালেও, বিজয় যে সু চির দলের তা স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমেই। অবশ্য ভোটের আগেই আভাস মিলেছিল সু চির বিজয়ের।
সুচির দল এনএলডি দাবি করেছে, তারা ৩শ’৮০ আসনে বিজয় পাবে। তবে নির্বাচনে এনএলডি জিতলেও সাংবিধানিক বিধি নিষেধের কারণে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না সু চি।
মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে সু চি বলেছেন প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও নেতৃত্বে থাকবেন তিনিই। বলেছেন তার ক্ষমতা খর্ব করার জন্য বাহিনীর যেকোনো চেষ্টা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। বর্তমান পার্লামেন্টের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
রোববারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এখনো আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না করলেও, মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী নিম্নকক্ষের ৪শ ৪০টি আসনের মধ্যে ৮৮ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ৭৮টিই পেয়েছে সুচির দল এনএলডি।
নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ মিলিয়ে সর্বমোট ৬৫৭ টি আসন রয়েছে। তবে জান্তা সরকার দেশটির সংবিধান সংশোধন করে ১শ ৬৬টি আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রেখেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে এনএলডিকে দুই পরিষদ মিলে ৩শ’ ৩০টি আসন পেতে হবে।
২৫ বছর আগের নির্বাচনে সু চির এনএলডি এককভাবে বিজয়ী হলেও দলটিকে ক্ষমতায় যেতে দেয়নি জান্তা সরকার। নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে তাকে গৃহবন্দী করে রাখে তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকার।