মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর চালানো জাতিগত নিধন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সহকারী মহাসচিব অ্যান্ড্রুু গিলমোর।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এই তথ্য প্রকাশ করে।
অ্যান্ড্রুু গিলমোর আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো জাতিগত নিধনের উদ্ধেশ্যে তাদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জোরপূর্বক খেতে না দিয়ে রাখা হয়।মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো কঠোর অত্যাচারে ফলে লাখ লাখ মানুষ মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়। ওই ঘটনার ছয় মাস পরও বন্ধ হয়নি এই অত্যাচার।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং পাহাড়াদারদের হাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণের শিকার হন।
তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ অভিযোগ বরাবরের মত অস্বীকার করে বলেছে, আমারা সাধারণ জনগণকে নিরাপদে রেখেছি, তবে আমাদের যুদ্ধ ছিল রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠির বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে অ্যান্ড্রুু গিলমোর বলেন, ‘আমি চিন্তা করতে পারছি না আমি যা দেখেছি এবং যা শুনেছি তার সমাধান কিভাবে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতিগত নিধনের ধরনটা এখন পরিবর্তন করেছে তারা। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে।
‘এরই মধ্যে গত সপ্তাহে আবারো এই নির্যাতন সীমান্তে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমার সরকার বিশ্বের কাছে প্রচার করছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।’