মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত হওয়া ১৫৯ জনকে ফেরত আনা হতে পারে ৫ আগষ্ট। গত বৃহস্পতিবার এদের ফেরত আনার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিলো।
কক্সবাজারস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে কর্ণেল মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, শনাক্ত হওয়া ১৫৯ বাংলাদেশীকে ফেরত আনতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ আগষ্ট এদের ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সম্মতি পেলে বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় বিজিবি ও মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের মধ্যে ৫ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০টায় এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে ফেরত আনা হবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার আসিফ মুনীর জানিয়েছেন, ফেরত আসার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত ১৫৯ জন ১০টি জেলার বাসিন্দা। নরসিংদীর ৮০ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, হবিগঞ্জের ১৭ জন, কিশোরগঞ্জের ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জের ১২ জন, ফরিদপুরের ১২ জন, শরীয়তপুরের ৩ জন, নওগাঁর ২ জন, নাটোরের ১ জন ও বরিশালের ১ জন বাসিন্দা রয়েছেন। এদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক রয়েছে ১৬ জন।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরো ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী। যার মধ্যে ৮ ও ১৯ জুন এবং ২২ জুলাই তিন দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৩৪৭ জনকে। বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত হওয়া ৪র্থ বারের মত ১৫৯ জনকে ফেরত আনা হবে।