সেনা অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি-সহ অন্য শীর্ষ নেতাদের আটকের ঘটনায় সেখানকার পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করছে বাংলাদেশ।
সোমবার এ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশেই গণতান্ত্রিক সরকারের প্রত্যাশা রাখে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবে ঢাকা।
প্রতিবেশি দেশটির পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শুধু বেসামরিক সরকারই নয় দেশটির সেনাবাহিনীর সাথেও কূটনৈতিক দেনদরবারে রয়েছে ঢাকা। ইতিহাস বলে দেশটির সামরিক শাসনের আমলেই রোহিঙ্গাদের দু’দফায় প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছিল।’
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
এর পরপরই দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী সু চি, প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ত এবং এনএলডির শীর্ষ রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
একই সাথে তারা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্তকে সরিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই মিয়ানমারের সব ক্ষমতা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে।