৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দারুণ। দিনের শেষভাগেও তারা করেছে অসাধারণ ব্যাটিং। তবে মাঝের সময়টায় মেহেদী হাসান মিরাজের ৩ উইকেট শিকার ব্যাকফুটেই রেখেছে ক্যারিবীয়দের।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০ রান। কাইল মেয়ার্স ৩৭ ও এনক্রুমা বোনার ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। অবিচ্ছিন্ন থাকা চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসেছে ৫১ রান।
বাংলাদেশ: ৪৩০ ও ২২৩/৮ (ইনিংস ঘোষণা), ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৯ ও ১১০/৩
টাইগার বোলাররা আর একটি-দুটি উইকেট নিতে পারলে বলা যেত বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। টেস্টের নিয়ন্ত্রণ স্বাগতিকদের হাতে, এটি অন্তত বলা যায়।
পঞ্চম ও শেষদিনে ক্যারিবিয়ানদের করতে হবে ২৮৫ রান। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭টি উইকেট।
মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের আশা দেখছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে উইন্ডজের তিন উইকেটই নিয়েছে এ অফস্পিনার। শেষদিনে এ তরুণ আরেকবার জ্বলে উঠতে পারলেই কাজটা সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
৫২ রানে ৩ উইকেট পাওয়া মিরাজ শেষদিন যদি আরও ৩ উইকেট পান তাহলে নাম লেখাবেন ইতিহাসে। বিশ্বের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এক ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়া হয়ে যাবে এ অলরাউন্ডারের। ছোট্ট সে তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান।
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তালিকার অন্য তিনটি নাম ডেভিডসন, ইয়ান বোথাম, ইমরান খান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ৪ উইকেট নেন মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে মোট ৬ উইকেট পেলেই হয়ে যাবে রেকর্ড। পাশাপাশি ১০০ টেস্ট উইকেটের তালিকায়ও নাম লেখানোও হবে। যা দেশের দ্রুততম উইকেটের সেঞ্চুরি হবে। ২৫তম টেস্টে তাইজুল ইসলাম শতক পূর্ণ করেছিলেন। মিরাজের এটি ২৩তম ম্যাচ।
১০০ কিংবা তার বেশি টেস্ট উইকেট শিকার করেছেন তিন বোলার। তারা হলেন- সাকিব আল হাসান (২১০), তাইজুল ইসলাম (১১৬), মোহাম্মদ রফিক (১০০)।
চারশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়া করতে হলে ক্যারিবিয়ানদের গড়তে হবে ইতিহাস। কেননা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ড ৩১৭ রানে তাড়া করেছিল ৭ উইকেট হারিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়কের এটি দশম টেস্ট সেঞ্চুরি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সপ্তম শতক।
সেঞ্চুরির প্রতিযোগিতায় মুমিনুল ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে (৯টি)। টাইগার ওপেনারের চেয়ে ২০ টেস্ট কম খেলেও এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির চূড়ায় উঠে গেলেন। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ (৭টি) সেঞ্চুরি মুশফিকর রহিমের।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুমিনুলের ১১৫ ও লিটন দাসের ৬৯ রানের ওপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে দুইশ পেরোয় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৩৩ রান।
৩ উইকেটে ৪৭ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৩১ রান নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নামা মুমিনুল লাঞ্চ বিরতির পর তিন অঙ্কে পৌঁছান ১৭৩ বল খেলে। তার ইনিংসে চারের মার ৯টি।
রাকিম কর্নওয়াল ও জোমেল ওয়ারিকেন নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।