চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মিরপুর স্টেডিয়াম খেলার উপযোগী হতে আরও দুই মাস

পুরণো মাটি সরিয়ে আউটফিল্ডে বসানো হয়েছে নতুন মাটি। লাগানো হচ্ছে ঘাস। রাত-দিন খাটছেন একশ শ্রমিক। এ সপ্তাহেই শেষ হবে ঘাস লাগানোর কাজ। তারপর ৪৫ দিনের অপেক্ষা। সপ্তাহখানেক রোলিংয়ের পর ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ‘হোম অব ক্রিকেট’ প্রস্তুত হতে লেগে যাবে আরও দুই মাস।

ঘাস লাগানো শেষে মাঠে দিতে হবে প্রচুর পানি। বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভূইয়া প্রার্থনা করছেন পর্যাপ্ত বৃষ্টির, ‘এই সময়টায় যত বৃষ্টি হবে মাঠের জন্য তত ভাল। ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় পযাপ্ত শ্রমিক পাচ্ছি না আমরা। বৃষ্টিপাত বেশি হলে সবদিক থেকেই আমাদের জন্য মঙ্গল।’

শনিবার মিরপুর স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন সংস্কার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের প্রকৌশলীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিসিবি কমকর্তারাও।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘৪০ শতাংশ ঘাস লাগানো হয়ে গেছে। সংস্কার কাজ পুরোদমেই চলছে। ঘাস লাগানো শেষ হলে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। পিচ রেডি আছে। পিচে কাজ না হওয়ায় আশা করছি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের একটি টেস্ট এখানে খেলানো যাবে।’

সারা বছর ব্যস্ত থাকা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পেয়েছে লম্বা বিশ্রাম। মধ্য জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল আউটফিল্ড থেকে ৬ ইঞ্চি পরিমাণ মাটি তোলার কাজ। আউটফিল্ডের মাটি পুরনো হয়ে যাওয়ায় পানি ঠিকভাবে নিচে নামছিল না। মাঠের পুরো ড্রেনেজ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছিল। দেশের মাটিতে হোম সিরিজ না থাকার সুযোগ কাজে লাগালো বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি।

২০০৪ সালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম বিসিবির দখলে যাওয়ার পর মাঠটি নতুন করে ক্রিকেটের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। তার ৬ বছর পর মাঠ সংস্কারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হোম গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত সূচির কারণে সেটি পারেনি বিসিবি।