মিয়ানমারে জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থার প্রধান বলেছেন, তদন্তকারীদের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দেশটিতে ‘গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ’ হওয়ার প্রমাণ প্রকাশ করেনি ফেসবুক।
মিয়ানমার সম্পর্কিত স্বতন্ত্র তদন্ত মেকানিজমের (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান রয়টার্সকে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের কাছে ‘অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণমূলক’ উপাদান ছিলো কিন্তু বছরের পর বছরের আলোচনাতেও তারা সেসবের কিছুই প্রকাশ করেনি।
সেসব উপাদানের কোনো বিস্তারিত বিবরণ দিতে অস্বীকার করেন নিকোলাস। আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ফেসবুক।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের ফলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের উপরে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হয়।
মিয়ানমার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনী পুলিশ পোস্টগুলিতে আক্রমণকারী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান পরিচালনা করছে।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, সহিংসতা বাড়িয়ে তোলার মতো ঘৃণ্য বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে ফেসবুক মূল ভূমিকা পালন করেছিল। যদিও ফেসবুক বরাবরই বলেছে, তারা ঘৃণাত্মক বক্তব্য বন্ধ করতে কাজ করছে এবং সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সামরিক অ্যাকাউন্টগুলো মুছে ফেলেছে তবে তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
ভবিষ্যতে বিচারকার্যে ব্যবহারের জন্য ২০১৮ সালে মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ইউএন মানবাধিকার কাউন্সিল আইআইএমএম গঠন করে।
কৌমজিয়ান বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, আজ অবধি, ফেসবুকের কাছ থেকে কোনও উপাদান পাওয়া যায়নি তবে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং আমি আশাবাদী যে প্রক্রিয়াটি শেষে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো পাওয়া যাবে।