মোরশেদ আলম: ইলিশকে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে সরকার আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুরসহ সারাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধ করেছে। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন চাঁদপুরের মৎস্য ব্যবসায়ীরাসহ জেলেরা।
জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি রোটারিয়ান আবদুল বারী জমাদার মানিক ১০ অক্টোবরের পর নদীতে নিষেধাজ্ঞার সঠিক সময় বলে মনে করেন। তিনি বলেন, পূর্ণিমার সাতদিন আগে থেকে শুরু হয়ে সাত দিন পর পর্যন্ত মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। কিন্তু সরকার এ বছর অমাবস্যার ৭ দিনসহ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এবার অগ্রিম বেশি দিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
মৎস্য বিভাগ এবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে চাঁদপুরের ব্যবসায়ী, জেলেসহ অন্যদের মতামত নিলেও সরকার তা আমলে নেয়নি বলে দাবি করেন এ মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা।
অপরদিকে ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভায় দীর্ঘ আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সভায় গুরুত্বপূর্ণ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, ৬ অক্টোবর অমাবস্যা ও ২০ অক্টোবর পূর্ণিমাকে ঘিরে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিষযটি আইনেও রয়েছে।
জানা যায়, প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলে মোট ১৫ থেকে ১৭দিন হচ্ছে ইলিশ ডিম ছাড়ার প্রকৃত সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা- মেঘনাসহ বিভিন্ন নদীতে ছুটে আসে। এই সময় বিবেচনায় নিয়েই এবার ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায অসংখ্য চর ডুবোচর জেগে ওঠায় ইলিশের নির্বিঘ্নে প্রজনন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এসব চর খনন করা সর্বাগ্রে জরুরি বলে এখানকার মৎস্যজীবীসহ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।