চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার -২০১৮ প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি। ১২ হাজার প্রতিযোগীকে টপকে এবারের আয়োজনে বৃষ্টি গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রথম রানার আপ হিসেবে জিতেছেন চার লক্ষ টাকা। পেয়েছেন রাতারাতি তারকাখ্যাতি। এতে করে বদলে গেছে তার জীবন। কিন্তু বৃষ্টি বলছেন, তিনি আগের মতোই আছেন!
তার ভাষায়, সাধারণ একটা মেয়ে ছিলাম তেমনই আছি। যোগ করে বলেন, কিন্তু ফোনটা আগের চেয়ে বেশি আসা শুরু হয়েছে। এই জিনিষটা বেশি দেখছি।
চ্যানেল আই অনলাইনকে বৃষ্টি বলেন, এখনকার জেনারেশন মুঠোফোনে বুঁদ হয়ে থাকে বেশি। কানে এয়ারফোন গুঁজে রাখে। কিন্তু আমার এসব অভ্যাস নেই। এই প্রতিযোগিতায় যুক্ত হওয়ার আগে বৃষ্টি চূড়ান্ত বিজয়ী ছিলেন ফ্যাশন হাউজ বিশ্বরঙ এর আয়োজনে একটি বিউটি কন্টেস্টে। সেখানে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির হয়ে ফটোশুট আর র্যাম্প ছাড়া কোনো কাজ করেননি বৃষ্টি। এমনকি নাটকে কাজের অফার আসলেও বৃষ্টি করেননি। শেখার জন্য সময় নিচ্ছিলেন।
তারপরেই নিজেকে যুক্ত করেছেন চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্সের সুপারস্টার প্রতিযোগিতার সঙ্গে। বৃষ্টি বলেন, এখন আমি অভিনয়টা ভালোভাবে শিখতে চাই। ভালোভাবে অভিনয় করতে চাই। ভালো ভালো কাজ করতে চাই। এজন্য আমার একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, ফিল্মে যদি কাজে সুযোগ আসে, তার আগে নাটক দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে চাই। এরপর কখনো যদি মনে করি নিজেকে একটু বাজিয়ে দেখা উচিত তখন ফিল্ম করবো। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, অভিনয় করবো।
মাদারীপুর জেলার মেয়ে হলেও বৃষ্টির জন্ম বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। দুই বোনের মধ্যের তিনিই বড়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষে।
ক্লাস টুতে পড়াকালীন হিন্দোলে নাচ শিখেছেন বৃষ্টি, তারপর বাফায়। তবে মিডিয়ার কাজ করতে আসা কিংবা যেকোনো প্রযোগিতায় অংশ নেয়াটা মায়ের কারণেই।
বৃষ্টি বলেন, আমার মা (শিরিয়া খানম) সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গান করতেন, খেলাধুলা করতেন, রোটারি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আম্মু চাইতো আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি মিডিয়াতে একটা জায়গা করে নেই। মায়ের সাপোর্ট পেয়েছি বলেই এতদূর এসেছি।
তিনি বলেন, কিন্তু আমার বাবা মনে করতেন লেখাপড়ায় ক্ষতি হবে। মা এবং আমার মামা মিলেই আমাকে উৎসাহ দিতেন। বড় হওয়ার পর চ্যানেল আই-লাক্স সুপারস্টার প্রযোগিতায় অংশ নিতে চেয়েছিলাম। মা বলেছিলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হও তারপর। নইলে বাবা মন খারাপ করবে। চান্স পাওয়ার পর বুলবুল টুম্বা আপুর কাছ থেকে র্যাম্প শিখে নেই। চার মাসের কোর্স করেছি। এছাড়া সংবাদ পাঠিকা হওয়ার ইচ্ছে ছিল, সেটিরও কোর্স করেছিলাম গত বছর। চ্যানেল আইতে একটি সিভিও জমা দিয়েছিলাম।
বৃষ্টি বলেন, আমি মোটামুটি শিখেই চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। কিছু না হলেও মন খারাপ করতাম না। আর্মিতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। লাক্সের সঙ্গে থাকার পরেই দেখলাম শৃঙ্খল জীবন যাপন করতে পারছি, কিছু শিখতে পারছি; এটা খুব ভালো লাগছিল। যারা আমাদের গ্রুমিংয়ে ক্লাস করিয়েছিলেন আফসানা মিমি আপু, আজরা আপু তাদের সংস্পর্শ পেয়েছি। ওনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। মূলত শেখার ইচ্ছে নিয়েই এই প্লাটফর্মে আসা। আগামীতে নিজেকে মেলে ধরতে চাই। ভালো ভালো কাজ করতে চাই। সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাই