জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথমদিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৪ ও তাসকিন আহমেদ ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। আলোক স্বল্পতায় খেলা কম হয়েছে ৭ ওভার।
খারাপ অবস্থা থেকে বাংলাদেশ ইনিংস টেনে তুলে শেষবেলায় আউট হয়েছেন লিটন দাস। ৫ রানের জন্য করতে পারেননি নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
টেস্টে লিটনের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৯৪। সেদিনও সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন। হারারেতে আরও একবার নার্ভাস নাইনটিজে গিয়ে আউট। ১৪৭ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে ৯৫ রানে থামেন তিনি।
চাপের মধ্যে ব্যাট করতে নামলেও লিটন শুরু থেকেই ছিলেন বেশ সাবলীল। সহজাত ব্যাটিং দিয়ে যাচ্ছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। প্রথমদিনের খেলাও খুব একটা বাকি ছিল না। এমন সময়ে পেসার ডোনাল্ড ত্রিপানোকে উপহার দিয়ে আসেন দিনের সবচেয়ে মূল্যবান উইকেটটি।
তাতে ভাঙে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের দারুণ জুটিটি। লিটনের বিদায়ের পরপর সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজও।
প্রথম সেশনে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনেও তাই। দুই সেশনে তিনটি করে উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় সেশনে হারায় আরও দুটি উইকেট।
শুরুর বিপর্যয়ের মধ্যে মুমিনুল হক একাই টানছিলেন দলকে। ব্যক্তিগত ৭০ রানে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মুশফিকুর রহিম ১১, সাকিব আল হাসান ৩ ও মুমিনুল ফিরেছেন ৭০ রানের ইনিংস খেলে। লাঞ্চ বিরতির পর মুশফিক আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হন। মুজারাবানির বল লাগে মি. ডিপেন্ডেবলের থাই প্যাডে।
টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় স্টাম্পের উপর দিয়েই যেত বল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন মুশফিকও। কিন্তু রিভিউ না থাকায় মেনে নিতে হয়।
পরের ওভারে সাকিব ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। জোড়া ধাক্কায় চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একাই লড়ে যাওয়া মুমিনুলের আউটে বিপদ আরও বাড়ে।
সকালে শুরুর জোড়া ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। জুটি গড়ে বাংলাদেশকে দেখাচ্ছিলেন পথ। সেই লড়াই খুব দীর্ঘ হয়নি। লাঞ্চ বিরতির খানিক আগে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাদমান।
তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৬০ রান। রিচার্ড এনগ্রাভার ইনসুইং ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রেন্ডন টেলরের তালুতে ক্যাচ দেন সাদমান। আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি ওপেনার ৬৪ বলে চারটি চারের সাহায্যে করে যান ২৩ রান।
সকালে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের পেস আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের টপঅর্ডার। ব্লেসিং মুজারাবানির পেস-বাউন্স সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। ওপেনার সাইফ হাসান বোল্ড হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ২ রানের বেশি করতে পারেননি। মুজারাবানির বলেই তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন এ বাঁহাতি। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৮ রান।
মুজারাবানি তিনটি, ভিক্টর নুয়ানচি ও ত্রিপানো নেন দুটি করে উইকেট।