দলের যেকোনো তরুণ পেসারের চেয়ে তার ফিটনেস খারাপ নয়। শেষ দুই বছরে উইকেট দখলের দিক থেকে দ্বিতীয়। তবু চারদিকে একটা ‘চলে যাও, চলে যাও’ রব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে ওই রব ডালপালা মেলেছে। বিসিবির আনাচে-কানাচে ফিসফাস, মাশরাফীকে অবসর নিতে বাধ্য করা হবে! লাল-সবুজের ওয়ানডে অধিনায়ককে নিয়ে ক্রিকইনফো সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেও বলা হচ্ছে, ভালো খেলেও দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে।
‘প্রায় প্রত্যেক সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ পর আমার চলে যাওয়ার বার্তা আসে,’ ক্রিকইনফোকে বলেছেন মাশরাফী।
‘এভাবে খেলা কঠিন। আমি জানি একটি সিরিজের দুই ম্যাচ পর আমার বিদায় নিয়ে কথা শুনতে হবে। এই চ্যালেঞ্জটা আমাকে নিতে হচ্ছে।’
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের সর্বাধিক উইকেট শিকারি মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৪টি। তারপরেই ম্যাশের অবস্থান, ৪২টি। ৩৪ উইকেট নিয়ে তৃতীয় সাকিব।
দুই-একটা ম্যাচে যে মাশরাফি খারাপ করেন না তেমনও নয়। কিন্তু ঠিকই পরের ম্যাচে ফিরে আসেন।
নিজেই বলছেন সেকথা, ‘আয়ারল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমি ৬.৩ ওভারে ৫৮ রান দিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল আমার বোলিং পদ্ধতিতে কিছু একটার অভাব আছে। তাই পরদিন নেটে প্রধান কোচ এবং বোলিং কোচের সামনে বেশি বেশি বল করি। দুজনের সঙ্গেই কথা বলি। তারপর শুধু উইকেটরক্ষককে রেখে বল করে যাই। আমি আমার সমস্যা শুধরে নিয়েছিলাম। যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করছি। কিন্তু এই পরিবেশে খেলা কঠিন।’