লংঅনে নেওয়া ইয়ন মরগানের ‘ক্যাচ’টা আম্পায়াররা বাতিল করে দেয়ার ঘোষণায় যেন বিস্ময়ের ঘোরই কাটছিল না তামিম ইকবালের। তৃতীয় আম্পায়ার ‘নটআউট’ সিদ্ধান্ত দেয়ার পর মাঠ আম্পায়ার সুন্দরম রবির কাছে যেয়ে অনেকক্ষণ কথা বললেন টাইগার ওপেনার। ম্যাচের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের দৃঢ় বিশ্বাস, ক্যাচটা আউটের জন্য যথেষ্ট ছিল। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে পরে অধিনায়ক মাশরাফিও তামিমের সঙ্গে ‘সহমত’ পোষণ করলেন। যদিও ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে।
মরগানের ক্যাচটা আম্পায়াররা বাতিল না করলেও ম্যাচের চিত্রপটে খুব বেশি কোন পরিবর্তন আসত কিনা সেটি তর্কসাপেক্ষ। মরগান তখন ২২ রানে। ইংল্যান্ডের চাই আরো ১০২ রান। হাতে বল ৮৬টি। স্বাগতিকদের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ হলেও চাপ তৈরি করা অসম্ভব ছিল না টাইগার বোলারদের জন্য।
কিন্তু টিভি আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিলেন ‘নটআউট’। সেটা সামনে থেকে দেখা রিপ্লের পর, সামনে থেকে দেখে কিঞ্চিত সন্দেহ জাগতে পারে ক্যাচটি নিয়ে। তবে টিভি রিপ্লেতে যখন তামিমের পেছন থেকে ক্যাচটি দেখাচ্ছিল, তখন মনে হচ্ছিল না বল ঘাস ছুঁয়েছে। অবশ্য মাঠ আম্পায়াররা শুরু থেকেই যেভাবে নটআউটের সবুজ সিগন্যাল দিয়ে রাখলেন, সেটাই বিস্ময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ দলের। রিপ্লেতেই যেটা পরিষ্কার নয়, সেটা কিভাবে এতদূর থেকে মাঠ আম্পায়াররা দেখে ফেললেন সেই প্রশ্ন এখন সুউচ্চ!
মাশরাফি বরাবরের মত আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে সম্মানের চোখেই দেখছেন। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কেরও মনে হচ্ছে আরেকটু সময় নিয়ে আরেকটু ক্লোজ করে দেখলে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা হয়ত অন্যরকমও হতে পারত।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে ম্যাশ বললেন, ‘ক্যাচটা হওয়ার ব্যাপারে তামিম পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল। আম্পায়াররা হয়ত আরো ভালো দেখেছেন। মাঠের ফিল্ডারের মতও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তামিম আত্মবিশ্বাসী ছিল, ওটা ক্যাচ। আরেকটু ক্লোজ করে দেখলে হয়তো ভালো হত। একটু তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তটা এসেছে কিনা জানি না।’
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলার ব্যাপারে নিয়মটা কড়াকড়ি। জরিমানা নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত গড়াতে পারে। তবে আত্মবিশ্বাসী তামিম দেশি সংবাদমাধ্যমের সামনে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন ওটা ক্যাচই ছিল, ‘ফিল্ডার হিসেবে আমার ক্যাচ বলেই মনে হয়েছে। মাঠ আম্পায়ারের সবুজ সিগন্যালের কারণেই হয়ত সিদ্ধান্তটা নটআউটের দিকে গেছে।’
সেই যাওয়ার রেশটা মনপোড়ানো এক হারের পরও থেকে যাচ্ছে ভালোভাবেই। তামিমের সঙ্গে ‘সহমত’ জানানো মাশরাফি সেটা গোপনও করলেন না, ‘তখনো ওভারপ্রতি ৭-এর মত দরকার ছিল ওদের। মরগান ফিরে গেলে সম্ভাবনা টিকে থাকত। উইকেট পড়লে কিছু ডট বল হয়। তখন ওভারপ্রতি রানটা বাড়ত, চাপ থাকত, আরো উইকেট পড়তে পারত। মরগান আউট হলে অনেককিছুই হতে পারত।’