ডাগ আউট থেকে সতীর্থদের একের পর এক সাজঘরে ফেরা দেখেছেন মাশরাফি। দলের বিপর্যয়ে যখন মাঠে নামলেন তখন রান ১৬৯, অপর প্রান্তে ক্রিজে প্রত্যাশার চাপ নিয়ে দলে ফেরা নাসির। সেখান থেকে নাসিরকে নিয়ে নতুন করে শুরু করলেন অধিনায়ক ম্যাশ।
নাসিরকে নিয়ে গড়েন ৬৯ রানের মূল্যবান জুটি। নাসির খেলেন ২৭ বলে ২৭ রানের একটি অপরাজিত ইনিংস। মূলত মাশরাফির ২৯ বলে দুটি চার ও তিনটি ছয়ে ৪৪ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৩৮ রান করে বাংলাদেশ।
রোববার হোম অব ক্রিকেটে টসে হেরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলে শুরুতেই চাপ সৃষ্টি করেন ক্রিস ওকস ও উইলি। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ওকস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমরুল কায়েস ১৮ বলে মাত্র ১১ রান করে উইলির হাতে ধরা পড়েন।
ইমরুল কায়েসের পর দ্রুতই ফিরে যান তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ওকসের বলে মিড উইকেটে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সাব্বির। খুব ধীর গতিতে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। তবে ২১ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে জ্যাক বলের শিকার হন সাব্বির। আগের ম্যাচে মোসাদ্দেক যেভাবে আউট হন তারই পুনরাবৃত্তি হলো সাব্বিরের বেলায়। বোল্ড হয়েছেন এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
বিপর্যয় সামাল দিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম চেষ্টা চালিয়ে যান। রানের চাকা সচল রেখে উইকেটও সামাল দেন তারা। তাদের জুটিতে আসে ৫০ রান। এই জুটি ভাঙেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ইংলিশ পেসার বল। বাউন্স বলে সীমানার কাছে আদিল রশিদের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। তিনি ২১ রান করেন।
এরপর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ১৯ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন রিয়াদ। তবে খুব বাজে একটা বলে ইংলিশ বোলার স্টোকসকে উইকেট উপহার দেন সাকিব। তিনি মাত্র ৩ রান করেন।
এরপর তরুণ ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটা মেরামতের কাজে লেগে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেন এই দুজন। তবে দলীয় ১৬১ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়ানের পথে পা বাড়ান রিয়াদ।
রিয়াদের বিদায়ের পরই টাইগারদের ইনিংসে আরেকবার আঘাত হানেন আদিল রশীদ। এই লেগস্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে মঈন আলীকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৯ বলে ২৯ রান করেন উদীয়মান এই অলরাউন্ডার।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ক্রিস ওকস, জ্যাক বল ও আদীল রশীদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।