ওভাল টেস্ট হারলেই ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে অ্যাশেজ হারের হতাশা জুটবে ইংল্যান্ডের, ড্র করলেও তাই। এমন বাঁচা-মরার ম্যাচ অথচ শুরুতেই কিনা স্নায়ু নড়বড়ে হয়ে গেল ইংলিশদের! প্রায় দশ মাস পর টেস্টে ফেরা মিচেল মার্শের তোপে প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ২৭১ পর্যন্ত গেছে জো রুটের দল।
টস জিতে ওভালে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক প্রমাণ করেছেন পেসাররাই, বিশেষ করে মিচেল মার্শ। প্যাট কামিন্স-জস হ্যাজেলউডদের মতো পেসারকে আড়াল করে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও হ্যাজেলউড।
উইকেট শিকারের শুরুটা হয়েছে কামিন্সের হাত ধরে। তাকে খেলতে গিয়ে ১৪ রানে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের ক্যাচ হন চলতি অ্যাশেজে ইংলিশদের অন্যতম ‘ফ্লপ’ ব্যাটসম্যান জো ডেনলি। এরপর প্রথম সেশনে আর কোনো ধাক্কা খায়নি ইংল্যান্ড। ওপেনার ররি বার্নসকে নিয়ে নিরাপদেই সেশনের বাকি সময়টা পার করে দেন অধিনায়ক জো রুট।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথমভাগে আবারও ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। ৪৭ রানে হ্যাজেলউডের বলে মার্শের হাতে ধরা পড়েন বার্নস। ভাঙে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৬ রানের প্রতিরোধ।
জুটি ভাঙতেই মার্শের কবলে পড়েন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কারেনরা ছোটখাটো ইনিংস খেলে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও কাউকে খুঁটি গাড়তে দেননি মিডিয়াম পেসার মার্শ।
অন্যপ্রান্তে একাই লড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন রুট। কিন্তু তিন দফা জীবন পাওয়ার পরও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি স্বাগতিক অধিনায়ক। ৫৭ রানে তার স্টাম্প ভাঙেন কামিন্স। ২০৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দুর্দশা তখন ইংলিশদের।
নড়বড়ে অবস্থা থেকে তাদের টেনে তোলেন জস বাটলার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে। সঙ্গী ১০ রান করা লিচ।