ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লৌতারো মার্টিনেজকে গুরুত্বের সঙ্গে বার্সেলোনায় দলবদলের দিকটি বিবেচনা করতে বলেছেন মারিও কেম্পেস। আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির কথা, ‘বার্সা নামক ট্রেন একবারই জীবনের স্টেশনে থামে!’
গত দুই মৌসুম ধরেই লৌতারোর দিকে পাখির চোখ করে আছে বার্সা। দলটির আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিরও চাওয়া মূল ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজের বিকল্প হিসেবে যেন ২২ বছর বয়সী স্বদেশিকে দলে টানে ক্লাব। আগামী দলবদলে ভালো দামেই মার্টিনেজকে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। গোলডটকমের মতে বেশ আকর্ষণীয় প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
মার্টিনেজের প্রতিভা ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে ছাড়তে চায় না ইন্টার। আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু এগোলে মার্টিনেজকে বাধা দেয়ারও ক্ষমতা থাকবে না ইতালিয়ান ক্লাবটির।
নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাইলে মার্টিনেজকে বার্সার ট্রেনে উঠে পড়তে বলছেন কেম্পেস। বার্সার পাশাপাশি মেসির সঙ্গে জুটি বাধার এটাই দারুণ সুযোগ বলে মনে করছেন বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি, ‘লৌতারো কয়েক বছরের মধ্যেই নিজেকে অন্যতম সেরা নম্বর ৯ প্রমাণ করেছে।’
‘সে নিজেকে আর্জেন্টিনা ও ইন্টারে প্রমাণ করেছে। আমি মনে করি জীবনে বার্সার ট্রেন একবারই থামে। অবশ্য ইন্টার দারুণ এক দল, কিন্তু বার্সা সম্পূর্ণ আলাদা।’
‘মেসির সঙ্গে খেলতে পারলে দারুণ হবে। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ইন্টার ভালো দল, আর যদি সে বার্সায় যেতে চায় এবং ইন্টার তাকে যেতে দেয়, অর্থ উপার্জনের জন্য তা হবে ভালো।’
লৌতারো মার্টিনেজের পাশাপাশি জুভেন্টাসে খেলা আরেক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালাকে নিয়েও কথা বলেছেন কেম্পেস। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশে থেকে দিবালা নিজেকে সেরা প্রমাণিত করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হতাশাই দেখিয়েছেন তিনি।
‘নিজেকে সেরা প্রমাণ করার মতো বিশ্বাসের অভাব আছে দিবালার।’ সোজা জবাব তার।
‘পালের্মো থেকে দারুণ অভিজ্ঞতা নিয়েই সে জুভেন্টাসে এসেছিল। সেখানে ভালোও করছিল। জানি না রোনালদো আসার পর সে কম সুযোগ পাচ্ছে কিনা। তবে জাতীয় দল ও ক্লাবের সে গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।’
‘আমাদের মানতেই হবে তার মতো খেলোয়াড়েরা ব্যতিক্রম। নিজের ভেতর যে প্রতিভা আছে সেটি বের করে আনতে হলে ওকে মাঠে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’