মার্চে চালু হচ্ছে মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হবে পুরো ফ্লাইওভার। জনগণের জন্য নির্মিত বিশাল এ প্রকল্পের নকশায় ভুল রয়েছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এলজিইডি বলছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেই এগিয়ে চলছে ফ্লাইওভারের কাজ।
৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটির সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলির মোড় পর্যন্ত অংশ মার্চে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
এ অংশের কাজ শেষ হয়েছে জানুয়ারিতে। দ্বিতীয় ধাপে ফ্লাইওভারটির বাংলামোটর-মৌচাক অংশ খুলে দেয়া হবে চলতি বছরের জুনে আর শেষ ধাপে রামপুরা, রাজারবাগ, শান্তিনগরের অংশ খুলে দেওয়া হবে ডিসেম্বরে। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এলজিইডি বলছে, নিচের রাস্তা চালু রাখা আর ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বাড়াসহ বিভিন্ন কারণেই ব্যয় বেড়েছে।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী বলেন, সাধারণভাবে একটা প্রকল্প দুইবার এক্সটেনশন করার সুযোগ পায়, আমরা মাত্র একবার করেছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েই বলছি ডিসেম্বর ২০১৬’র মধ্যেই আমরা পুরো ফ্লাইওভারের কাজ সম্পন্ন করবো। রাস্তা বন্ধ না করে কাজ করার জন্য আমাদের ব্যাপক খরচ বেড়ে গেছে।
প্রধান প্রকৌশলী বলেছেন, বাঁ-হাতে চালানো গাড়ির জন্য এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা অপপ্রচার। তিনি আরো বলেন, অরিজিন ডেস্টিনেশন সার্ভে করে করা হয়েছে, ট্রাফিক সার্ভে করে করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চভাবে বুয়েটের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাম দিক দিয়েই গাড়ি উঠবে এবং ডান দিক দিয়েই নামবে। কাজ শেষে আমরা প্রমাণ করে দেবো যে যারা এসব রটাচ্ছেন তারা সবাই ভুল এবং কল্পনাপ্রসূত কথা বলছেন। আমরা সঠিক কাজটিই করেছি।
এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বলেন, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটি অত্যন্ত স্লিম একটি করিডোর, সেখানে সবচেয়ে ভালো অপশনটিই আমি বেছে নিয়েছি। এবং সেসবই বাস্তবায়ন করছি।
এলজিইডি বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত যতগুলো ফ্লাইওভার এবং ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে তাতে প্রতি মিটারের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা। এ ফ্লাইওভারে প্রতি মিটার নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ১৩ লাখ টাকা।