চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মার্কিন বাজেট: অচলাবস্থা অবসানে আবারও ভোটের ডাক

নতুন বাজেট বিল পাশ করাতে আবার ভোটের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সিনেটররা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থার দ্বিতীয় দিনে সিনেট অধিবেশনে আবার এই ভোটের ঘোষণা দেয়া হয়। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এই অচলাবস্থার (গভর্নমেন্ট শাটডাউন) জন্য ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা একে অপরকে দায়ী করে আসছেন। রিপাবলিকান শীর্ষ নেতা মিচ ম্যাককালাম ডেমোক্র্যাটরা ‘দায়িত্বহীন রাজনৈতিক খেলা’ খেলছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

ডেমোক্র্যাট নেতারা চান বাজেট বিলের অংশ হিসেবে অভিবাসনের বিষয়ে সমঝোতায় আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু রিপাবলিকানরা বলছেন, ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম বন্ধ থাকা অবস্থায় কোন ধরনের আলোচনাই সম্ভব নয়।

সিনেটের নিয়ম অনুযায়ী এই বিল পাস করতে হলে সিনেটের ১০০ সদস্যের মধ্যে ৬০ জনের সমর্থন লাগবে। সেখানে রিপাবলিকান সিনেটরের সংখ্যা ৫১। তারা ইতোমধ্যে বিল পাস করাতে আগের দফায় ভোট দিয়েছিলেন। তাই বাজেট বিল পাস করাতে কমপক্ষে ৯ জন ডেমোক্র্যাট সিনেটরের ভোট প্রয়োজন তাদের।

অবশ্য ডেমোক্র্যাটদের নিজের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে রাজি করানোর বদলে উল্টো ঝগড়া উসকে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রোববার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য রিপাবলিকানরা লড়ে যাচ্ছেন দেখে তিনি খুব আনন্দিত। অভিযোগ করেন, ডেমোক্রেটিক সিনেটররা কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই অবৈধ অভিবাসীদের বন্যা বইয়ে দিতে চান যুক্তরাষ্ট্রে।

এছাড়াও বাজেট বিল পাসের জন্য ৬০ ভোট বাধ্যতামূলক না করে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ধরেই বিল পাস করানোর নিয়ম প্রতিষ্ঠা করাটাই এখন জরুরি বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। বলেন, এমনটা হলে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে তার ‘বাস্তবধর্মী, দীর্ঘমেয়াদী’ বাজেট কবেই পাস হয়ে যেত।

নতুন বাজেটে বিভিন্ন বিষয়ে সিনেট মতৈক্যে আসতে ব্যর্থ হওয়ায় খরচ বাঁচাতে শুক্রবার একেবারে অত্যাবশ্যকীয় বাদে বাকি সব সরকারি কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে মার্কিন ফেডারেল সরকার। শুক্রবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রধান সব বিষয় নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা চলেছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক সিনেটরদের মধ্যে। মধ্যরাত পর্যন্ত আলোচনা, বিতর্ক ও ভোটে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ‘গভর্নমেন্ট শাটডাউন’ বা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি অফিসসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।