ইরানের উপর ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির অংশ হিসেবে তুলে নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে দেশটির তেল রপ্তানি, বাণিজ্য, ব্যাংকে প্রভাব পড়বে। এমনকি যারা তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে বাণিজ্য করে তাদেরও প্রভাবিত করবে এই নিষেধাজ্ঞা।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেছেন, তেল বিক্রি জারি রাখবেন তিনি।
নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক দিক থেকে অনেক নিষেধাজ্ঞা তৈরি হবে। কিন্তু এর ফলে কতটা বিপদে পড়বে ইরান?
এই নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের সঙ্গে কেউ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলেও সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিবে। কিন্তু ইরান তেল রপ্তানির উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল তাই এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে তাদের উপরও।
ইরানের সাথে ২০১৫ সালে করা এক বহুপাক্ষিক চুক্তিকে ভয়ঙ্কর হিসেবে আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবছরের শুরুর দিকে তা থেকে বেরিয়ে যান। ওই চুক্তির ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর সরাসরি নজরদারি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যার বিনিময়ে বিশাল পরিসরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু চুক্তি থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় বহাল হচ্ছে।
এই ঘোষণা অন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইরান থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার ঘটনা বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট এবং ইতোমধ্যে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি কমে গেছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনও মার্কিন কোম্পানি ইরানে ব্যবসা করলে তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আজ সোমবার থেকে ব্যাংকিং সেক্টরেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। গত অগাস্টে ইরানে স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু এবং অটোমোবাইল সেক্টরসহ বেশকিছু শিল্পখাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল।
এর আগেও ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র তবে এবারেরটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত ৭০০ ব্যক্তি, সংস্থা, জাহাজ এবং বিমান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
সেই সঙ্গে ব্রাসেলস নির্ভর সুইফট নেটওয়ার্ক যারা আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পন্ন করে তারাও ইরানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করবে। সেটাও ইরানকে একঘরে করে দেয়ার একটি প্রচেষ্টা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরানের তেলবিক্রির পরিমাণ শূন্যতে নামিয়ে নিতে। তবে সেক্ষেত্রে আটটি দেশকে ভিন্নমতের অধিকার দেওয়া হয়েছে। যদিও তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।