দর্শকরা বলত কালো চিতা। কোচ কখনো বলতেন চিতাবাঘ, কখনো হরিণ। কিন্তু তার আসল নাম মনির হোসেন মনু। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার সিরোসিসে ভুগে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন দীর্ঘদিন মোহামেডানে খেলা এই কিংবদন্তি উইঙ্গার ।
১৯৮৫ সালে প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পান মনির হোসেন। সাফ গেমসের দলে ছিলেন। এরপর পাকিস্তান যান একটি টুর্নামেন্ট খেলতে। পরে যান নেপাল। দেশের মাটিতে প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপও খেলেন। তখন জাতীয় দলের এত ম্যাচ ছিল না। তার উপর ইনজুরিতে পড়লে সেরে ওঠা ছিল কষ্টকর। তাই মনির হোসেনের ক্যারিয়ার খুব একটা লম্বা হয়নি।
আরামবাগের ৫৯/১ মগার গলিতে তার জন্ম। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের আগেই পিতামাতা মারা যান। তখন ছয়-সাত বছর বয়স তার। বাবার নাম মহসিন মোল্লা; মায়ের নাম আম্বিয়া।
গতির জন্যই মনির হোসেন বাংলাদেশ ফুটবলে বেশি পরিচিত। বল লাইনের ওপর রেখে দাগের বাইরে দিয়ে ছুটতেন। এ ছাড়া শুটিং পাওয়ার ভালো ছিল। দূর থেকে শট নিয়ে অনেক গোল করেছেন। বল ছাড়ার দক্ষতাও ছিল দুর্দান্ত।
ক্লাবে খেলার সেই দিনগুলোতেই ঢাকার মাঠে ‘হরিণ’ উপাধি পেয়ে যান। পরে ‘চিতাবাঘ’ বলে ডাকা শুরু করেন কোচ চান। যাকে মনির হোসেন ‘চান ভাই’ বলে ডাকতেন।