মাথার চোটে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা ছিল সাদিও মানের। গুরুতর সেই চোট কাটিয়ে ফিরলেন আফকনের শেষ আটের লড়াইয়ে, করালেন সতীর্থকে দিয়ে গোল। গিনিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেটও নিশ্চিত করেছে তারকা উইঙ্গারের দল।
আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে শেষ চারের টিকেট কাটার লক্ষ্যে প্রত্যাশিত জয় তুলেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২০তম দল সেনেগাল। গিনিকে ৩-১ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছেন ডিয়েডিউ, কাওয়াতে ও সার। গিনির হয়ে একমাত্র গোলটি বুইলা সামের।
সেনেগালের ২৩টি ও গিনির ১৯ ফাউলের ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল ১১৪ নম্বর দলটি। আক্রমণ, গোলে শট ও আধিপত্যের বিচারে যোজন এগিয়ে ছিল মানের দল। সেনেগালিজদের ১৬ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে, বিপরীতে ৯ শটের দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে গিনি।
স্ট্যাডে আহমাদু আহিদজো স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসেবে শুরু করে সেনেগাল। প্রথমার্ধে বল দখল এবং আক্রমণে গিনির রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে সেনেগাল। ধারাবাহিকতায় ২৮ মিনিটে এগিয়ে যায়। লিভারপুল ফরোয়ার্ড মানের বাড়ানো বল নিখুঁতভাবে জালে ঠেলে দেন ফামারা দিদিউয়।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে শুরু হয় পেনাল্টি বিতর্ক। কাওলিবালির হ্যান্ডবলের জোড়াল দাবি করলে পরিস্থিতি গড়ায় ভিএআরে। গিনির স্পটকিকের আবেদন বাতিল হয়। আট মিনিট পর সমতায় ফেরে দলটি। পেনাল্টি এলাকায় নিচু হয়ে আসা বল দারুণ এক শটে সেনেগাল জালে জড়ান বুইলা সাম।
ম্যাচে সমতা আসার পর আক্রমণের ধার বাড়ায় লায়ন্স অব তেরঙ্গারা। সংগঠিত ও নিয়ন্ত্রিত পারফর্মের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে গিনি। দশ মিনিট পর সেনেগালের লিড বাড়ান চেইকো কাওয়াতে।
ইংলিশ ক্লাব ওয়াটফোর্ড উইঙ্গার ইসমাইলা সারের ৭৯ মিনিটের গোলে আরও এগিয়ে যায় সেনেগাল। পরের ১৩ মিনিটের সঙ্গে আরও ৩ মিনিট যোগ হলেও ম্যাচের স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে পারেনি দুদল।
আফকনে সবার আগে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক দেশ ক্যামেরুন। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ সালাহদের মিশর। বুরকিনা ফাসোর বিপক্ষে ফাইনালের টিকেট জোগাড়ে নামবে সাদিও মানদের সেনেগাল।