মানব পাচারের অভিযোগে সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল সহ মোট ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
থাই পুলিশ জানিয়েছে, মানব পাচারের ঘটনায় থাইল্যান্ডের ইতিহাসে এতো ব্যাপক তদন্ত আর হয়নি।
গত মে’তে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় গণকবরে ২৬ জন অভিবাসীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার পর থাই কর্তৃপক্ষ এই তদন্ত শুরু করে। অভিযান শুরু হওয়ার পর মানবপাচারকারীরা অভিবাসী বোঝাই বহু নৌকা থাইল্যান্ডের উপকূলে ভাসমান অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়।
এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই ছিল মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম এবং বাংলাদেশী।
সেনাবাহিনীর যে জেনারেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম মানাস কংপান। থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ও চা যখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, তখন তিনি এই অফিসারকে লেফটেন্যান্ট জেনারেলের পদে উন্নীত করেন।
দেশটির ১শ জনের বেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর এই ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরো একজন সেনা সদস্য এবং চারজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ওই ৭২ জন ছাড়া আরো ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। আর গ্রেফতারকৃতরা কেউই জামিন পাবেন না।
থাইল্যান্ডের গ্রেফতার ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন তিনদিন পরই মানবপাচার বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।