চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মানবপাচার বন্ধে নানা সমস্যা

মানবপাচারকারীরা বারবার রুট পরিবর্তন করায় এবং পর্যাপ্ত জনবল ও জাহাজ না থাকায় মানবপাচার পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

কক্সবাজারের টেকনাফ, মহেশখালী ও সেন্টমার্টিন দিয়ে মালয়েশিয়ায় সমুদ্র পথে মানবপাচারের ঘটনা নতুন নয়। কোস্টগার্ডের বেশ কয়েকটি অভিযানে বিভিন্ন সময় মাছ ধরা ট্রলার থেকে বেশ কয়েকবার কয়েক হাজার পাচারের শিকার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। তারপরও মানব পাচার থামেনি

সম্প্রতি থাইল্যান্ডে গণকবরের সন্ধান ও সেখানে বাংলাদেশী থাকার খবরে নড়ে চড়ে বসেছে স্থল ও নৌ সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত বাহিনী। তবে তারা জানায়েছে, সেন্টমার্টিন থেকে মিরেরসরাই পর্যন্ত ৭শ’২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথে ১২টি ক্যাম্প থেকে মানবপাচারকারীদের ট্রলার ধাওয়া করে পেরে উঠা যাচ্ছে না।

নতুন ৪টি ক্যাম্প করার কথা জানিয়েছে কোস্টগার্ডের পূর্ব জোন।

কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি স্টেশন ও আউটপোস্ট থেকে প্রদিদিন ২৪ ঘন্টা তারা টহল দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জনবল ও যানবাহনের স্বল্পতা আছে ।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, সমুদ্র পথে অবৈধভাবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের ট্রলারে ওঠানোর আগে স্থানীয় গ্রামে এনে রাখে দালালরা। স্থল সীমান্তে গত এক বছরে ৪০টি ট্রলার থেকে ২শ’৮৮ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। দালাল আটক হয়েছে ৫৫ জন।

কক্সবাজার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেন, এবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ১৯টি মামলা করেছেন তারা। ৪৩ জন মালয়শিয়াগামীকে রক্ষা করতে ও ৯জন দালালকে তারা ধরতে পেরেছেন।

তবে সমুদ্রপথ পাহারা দেয়া কোস্টগার্ড ও বিজিবি বলছে, বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ এবং এর প্রচার বাড়ালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবেঅবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া কমতে পারে।