আসাদুজ্জামান বাবুল, গোপালগঞ্জ: মাদক বিক্রেতাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদ করায় গোপালগঞ্জ জার্নালিস্ট ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব সুলতানকে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থানায় ডেকে নিয়ে ওসি মো. কামরুল ফারুক একটি মারামারি মামলায় মাহাবুবকে আটক দেখিয়ে বিকেলে আদালতে প্রেরণ করেন।
সাংবাদিক মাহাবুবের ভাবি আফরোজা আক্তার মিতু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ মে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ কুরপালা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজিজুল দাড়িয়ার ছেলে তোজাসহ ৭/৮ জন মাদক বিত্রেতাকে ইয়াবাসহ আটক করে।
আটক তোজাকে একই গ্রামের বাসিন্দা মিজানসহ আরো কয়েকজন টাকার বিনিময়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাশুর মেহেদী হাসান ডাবলুর সঙ্গে মিজানের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মিজান বাদী হয়ে আমার স্বামী অনামিকা সুলতান ও ভাশুর ডাবলু সুলতানকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ এ দিন রাতেই আমার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে মারপিট করে।
তিনি বলেন: আজ শুক্রবার আমার দেবর মাহাবুব সুলতান ঘাঘর বাজারের মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে ঘাঘর বাজারে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে ফেরার সময় একজন দারোগা ওসির কথা বলে মাহাবুবকে থানায় ডেকে নিয়ে যান। এরপর বিকেলে তাকে ওই মারামারি মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল (সদর) মো. ছানোয়ার হোসেনকে অবহিত করার কিছুক্ষণ পর মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন: মাহাবুবকে মারামারি’র একটি মামলায় কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ী তোজাকে ছাড়িয়ে আনার ঘটনার জেরে মাহবুবকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন: থানা থেকে মাদক ব্যবসায়ী তোজাকে মিজান ছাড়িয়ে এনেছে এমন প্রমাণ থাকলে ওদের আসতে বলুন। এরকম ঘটনার সত্যতা থাকলে আমরা ওসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।