মাদক নির্মূল অভিযানের আড়ালে সরকারের অন্য ষড়যন্ত্র আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই অভিযারে পেছনে অন্য কারণ আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু সহ গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ এ তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। কিভাবে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে! এতো রক্ত ১৯৭১ সালের পর আর ঝরেনি। এটা কল্পনা করা যায় না। একটি সভ্য দেশে এভাবে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা হবে তা কল্পনা করা যায় না।
কে মাদক দ্রব্য সেবন করে, কে ব্যবসা করে সেটা কথা নয়। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা বিচার পাচ্ছে না কেন?
তিনি বলেন, কক্সবাজারের একজন কমিশনারকে হত্যা করা হয়েছে। তিনবার তিনি কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন। হাজারও মানুষ সেখানে জানাজায় অংশ নিয়েছে। সবাই বলছে নিরপরাধ একজনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিবে।
মাদক নির্মূল অভিযানের আড়ালে সরকারের অন্য ষড়যন্ত্র আছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এর দ্বারা বোঝা যায় এটা শুধু মাদক বিরোধী অভিযান নয়। এতে কোনো ষড়যন্ত্র আছে। একটার পর একটি ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।
তিনি বলেন, আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর বেড়িয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই খবর যদি সত্য হয় তাহলে কি এই দেশ স্বাধীন আছে? তাহলে কি দেশকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চায় সরকার?
ফখরুল আরও বলেন, আন্দোলন করেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সত্য কথা। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণের সম্পৃক্ত ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
‘আমরা যদি আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরাতে না পারি তাহলে জাতি আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। নির্বাচন অবশ্য দিতে হবে। সেটা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জনগণের ভোটের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম-ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।