মাদকের মূল সম্রাটরা সবাই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা দাবি করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, চুনোপুটিদের না মেরে মাদকের মূল নায়কদের নাম প্রকাশ করে বিচারের মুখোমুখি করুন।
মোশাররফের দাবি, মাদকের সম্রাটরা সবাই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ও কর্মী। সরকারের এমপি, যাকে সারা দেশের মানুষ চেনে মাদকের সম্রাট হিসেবে। তাকে ধরার পরিবর্তে ফুলের মালা পরানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মোশাররফ বলেন, দেশের মানুষ নিরাপদে নেই। কথায় কথায় ক্রসফায়ার দেয়া হচ্ছে। গুম, খুন চলছে। হঠাৎ বিচারবর্হিভূত হত্যা করছে মাদকের নামে। এর মাধ্যমে বিরোধীদের দমনের সুদূর প্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড দিয়ে মাদক নির্মূল হবে না। এ দেশে আইন আছে। আইনের অধীনে বিচার করা য়ায়।
তিনি বলেন, এদেশে কোনো ইয়াবা তৈরি হয় না। বাইরের দেশ থেকে আসে। সরকার যদি আন্তরিক হত তাহলে সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদক প্রবেশ করতে পারত না। মূলত এতে সরকারের এমপিরা জড়িত।
“আগে তাদের ধরুন। কিন্তু সরকার তা করবে না। এটি আসলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের মাঝে ভয় ভীতি সৃষ্টি করাই লক্ষ্য”-মোশাররফ।
বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, বিএনপি, খালেদা জিয়া ও জনগণকে বাইরে রেখে নির্বাচন করাই সরকারের টার্গেট। কিন্ত সরকারের এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে না। জনগণ তা মানবে না।
মোশাররফ বলেন, এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তা করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত করে তবেই আমরা একটি নির্বাচন করবো এবং সে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বিজয়ী হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। সময় আসছে। যদি সরকার ২০১৪ এর মতো নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে জনগণ রাস্তায় নেমে তাদের সামনে দাঁড়াবে।