মাদকের বিষে যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন দেশের যুবসমাজ। মাদকের মরণ ব্যধিতে আক্রান্ত বহু মানুষ। এমন বাস্তবতায় মাদকের বিস্তার রোধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ আদেশসহ রুল জারি করেছেন।
ইয়াবাসহ সকল ধরনের মাদকদ্রব্য পরিবহন, বিপণন ও সেবনের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সীমান্তবর্তী কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদকের অবৈধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বলা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পিবিআইকে এবিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
আর সকল ধরনের মাদকদ্রব্য অবাধে প্রবেশ, পরিবহন ও অবৈধভাবে বাজারজাতকরণ রোধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতায় কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলেও জারি করেছেন আদালত।
পুলিশ প্রধান (আইজিপি), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, টেকনাফের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও টেকনাফের ইউএনওকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘মাদক মানে বিষ—৭: ইয়াবার গ্রামে কোটিপতি বাসিন্দা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে নিয়ে সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেয়।
এসময় আদালত বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুসারে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য পরিবহন, বিপণন ও অবৈধভাবে বাজারজাতকরণ রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ বলে প্রতীয়মান হয়।
‘আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা বিশাল অংশ টেকনাফের সীমান্তে বিদ্যমান। কিন্তু তা সত্ত্বেও সীমান্তে দিয়ে ইয়াবাসহ মাদকের অনুপ্রবেশ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা খুবই দুঃখজনক।’
এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।