অবকাঠামো নির্মাণের এক দশকেও মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় চালু করা যায়নি আড়াইশ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত মাদকাসক্ত নিরাময় হাসপাতাল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমে লোকবল নিয়োগে প্রয়োজনীয় বিধি না থাকায় হাসপাতালটি চালু করা যায়নি। পরে ২০০৭ সাল থেকে হাসপাতালের জন্য নির্মিত ভবনটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস হিসেবে ব্যবহার হলেও চালু হয়নি হাসপাতাল।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। প্রতিদিনই মাদকাসক্তের হার বাড়ার বাস্তবতায় নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর তেজগাঁয় মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় চালু হয় ৪০ শয্যার কেন্দ্রীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র। পরবর্তীতে শিশুদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় আরো ১০টি শয্যার।
প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা সংখ্যা খুব কম হওয়াতে ২০০৪ সালে ৫০ শয্যার কেন্দ্রীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আড়াইশ শয্যার হাসপাতালের একশ’ শয্যায় ‘ডি-এডিকশন’ কার্যক্রমে মহিলাদের জন্য ১৫টি শয্যা চালুর কথা ছিলো। অন্য দেড়শ শয্যায় ‘থেরাপিক কমিউটি ইউনিটে’ ৩০ শয্যায় মহিলা পূর্নবাসন ইউনিট চালুর ব্যবস্থা রেখে ২০০৭ সালে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
বর্তমানে একশ’ শয্যার নতুন ভবনে ‘ডি-এডিকশন ইউনিটে’ চলছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় ২ ধাপের প্রথমটিতে মাদক থেকে দুরে রাখতে ‘ডি-এডিকশন’ এবং দ্বিতীয় ধাপে কাউন্সিলিং জরুরি। কিন্তু দেড়শ শয্যার ‘থেরাপিক কমিউটি ইউনিট’টি ব্যবহৃত হচ্ছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস হিসেবে।
পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু না করায় এখন শুধুমাত্র ২৮ দিন ভর্তি রেখে মাদকাসক্তদের ‘ডি-এডিকশন’ কার্যক্রম’ চলছে। এতে রোগীর চাপে যারা চিকিৎসার জন্য ভর্তির সুযোগ পায় তারা আপাত সৌভাগ্যবান হলেও কাউন্সিলিংয়ের সুযোগ না পাওয়ায় পুরো চিকিৎসা পাচ্ছে না।
এমন বাস্তবতায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর হাসপাতালে আরো ৫০ শয্যার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা দাঁড়াবে একশতে।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: