মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও গর্ভের শিশুর ওপর যারা গুলি চালিয়েছে প্রশাসন তাদের কোনো ছাড় দেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দল দেখে, মুখ দেখে প্রশাসন কাজ করছে না।
গুলিবিদ্ধ শিশু এবং মাকে দেখতে সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে এই ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্যই হোক কিংবা সামাজিক বিরোধের কারণেই হোক আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বর্তমানে শিশুটির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আশংকামুক্ত নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তবে দেশের চিকিৎসাতেই শিশুটি পুরো সুস্থ হবে বলে আশা করছেন তারা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, শিশুটিকে পুরোপুরি সুস্থ করতে সব ধরনের ব্যবস্থাই নিয়েছেন তারা।
ঢামেক পরিচালক ব্রি. জে. মো: মিজানুর রহমান জানান, নবজাতক ওয়ার্ডটি বেশ শক্তিশালী। এখানে সংকটাপন্ন নবজাতকদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হয়। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য এ মুহূর্তে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা আপাতত নেই বলে মনে করেন তিনি।
১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছে শিশুটির। পাশাপাশি একই হাসপাতালে চলছে শিশুটির মা নাজমা বেগমের চিকিৎসা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা: কানিজ হাসিনা বলেন, শিশুটিকে বাঁচাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এ পর্যন্ত ৬ আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শিখরও গুলিবিদ্ধ মা ও শিশুকে দেখতে আজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
যুবলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২৩ জুলাই মাগুরার দোয়ারপাড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন অন্ত:সত্ত্বা নাজমা বেগম।
জরুরি অস্ত্রোপচারে শিশুটিকে পৃথিবীর আলো দেখিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখন হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিটে গুলিবিদ্ধ অপরিণত ও জন্ডিস আক্রান্ত শিশুটির চিকিৎসা চলছে।