সিলেট থেকে: নিজ শহরে খেলতে এলে দলের সঙ্গে রোজভিউ হোটেলে ওঠেন আবু জায়েদ রাহি। হোটেল থেকে তার বাড়ির দূরত্ব অবশ্য হাঁটার পথ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেকে সিলেটের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে মাঠে এ পেসার। এত বড় উপলক্ষ অথচ মাঠে আসেননি তার পরিবারের কেউ!
সিলেটে যখন বিপিএল হয়েছিল, তখন নানা ঝক্কি-ঝামেলা সয়ে রাহির খেলা দেখতে এসেছিলেন তার মা। কিন্তু টেলিভিশনের মতো ক্লোজ শটে ছেলেকে না দেখে হতাশই হয়েছেন। মাঠে এসে খেলা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ঐদিনই।
সিলেট ভেন্যুর আন্তর্জাতিক অভিষেকে রাহির হয়েছিল টি-টুয়েন্টি অভিষেক। তখনও আসেননি পরিবারের কেউ। শনিবার সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সেটির কারণ জানালেন রাহি।
‘বিপিএলের সময় আমার আম্মু আসছিল। তখন আমার আম্মু বলেছে যে, মাঠের থেকে বাবা আমি টিভিতেই দেখব। টিভিতে তোরে দেখতে পারি, মাঠে এসে তোরে খুঁজেই পাই না। উনি বলছেন মাঠে আসব না, টিভিতে দেখব। এত ঝামেলা নিতে পারব না। বাসা থেকে কেউ আসেনি।’
সিলেটের টেস্ট অভিষেকের মঞ্চে রাহির সাফল্য একটি উইকেট। ৯১ ওভারে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট। সফরকারীদের রানটা খারাপ হয়নি ২৩৬। যদিও এ টাইগার পেসার মনে করেন নাগালের মধ্যেই রাখা গেছেন সফরকারীদের স্কোর।
‘ওদের একটা উইকেট পড়লেই কিন্তু টেলএন্ডাররা চলে আসবে। আমার মনে হয় আমাদের লক্ষ্য থাকবে আগে এক উইকেট নেয়া। সেটা হলে ওদের ৩২০এর মধ্যে আটকে দিতে পারব।’
‘প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখব। কারণ উইকেট বিচারে ওরা কম রানই করেছে। উইকেট ফ্ল্যাট ছিল।’ সারাদিনে প্রতিপক্ষের মাত্র পাঁচ উইকেট তুলে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাহির পর্যবেক্ষণ।